গোল করতে না পারা নিয়ে জেমির হতাশা

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ছবিঃ বাফুফে
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ছবিঃ বাফুফে
বঙ্গবন্ধু কাপের সেমিফাইনাল থেকে বাংলাদেশ বিদায় নিল ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরে। ম্যাচটা হারলেও দলের খেলায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। কিন্তু তাঁর দুশ্চিন্তা একটা জায়গাতেই। বাংলাদেশের ফুটবলাররা যে গোল করতে পারেন না!

বঙ্গবন্ধু কাপ এখন বাংলাদেশের জন্য অতীত। টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ খেলে একটিতে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দলকে। ফিলিপাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হারলেও জাতীয় দলের লড়াকু ফুটবল প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডেও গর্বিত তাঁর শিষ্যদের নিয়ে। তবে গর্বের সঙ্গে জেমির হতাশা গোল করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফিলিপাইনের বিপক্ষে আর আজকের সেমিফাইনাল—একই চিত্র। প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা ফুটবলটা ঠিকই খেলেছে খেলোয়াড়েরা, কিন্তু যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই গোল, করতে পারেনি সেটিই।

জেমির চোখ ভবিষ্যতের দিকেই, ‘ছেলেরা যে খেলা উপহার দিয়েছে, আমি তাঁদের ওপর খুশি। ওরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। যা অনেক কঠোর পরিশ্রমের ফল। এই দল নিয়ে আমি ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশা করছি।’
ভবিষ্যতের রসদই পাওয়া গেছে বাংলাদেশের খেলায়। লাওসের বিপক্ষে জয়টা ছিল ভালো খেলার পুরস্কার। র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা ফিলিপাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াই করাটা তো ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাসের জোগানই। উন্নতির বিভিন্ন দিকও স্পষ্ট, গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করাও বড় একটা ব্যাপার। কিন্তু একটি জায়গাতে বাংলাদেশের ফুটবল সব সময়ই ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছে। দলটা গোল করতে পারছে না।

জেমিও ব্যাপারটি নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথা জানালেন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে, ‘এত গোল মিস করলে ম্যাচ জেতা যায় না। আজ আমরা অনেক গোলের সুযোগ পেয়েও করতে পারিনি। আমি হতাশ। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই। বাংলাদেশের ফুটবলে স্ট্রাইকার সংকট চলে আসছে অনেক দিন ধরে। ক্লাবগুলোতে স্ট্রাইকারদের খেলাটা নিশ্চিত করতে হবে।’
গোল করতে না পারলে ভালো খেলেও যে লাভ নেই!