গায়কের স্ত্রীর সঙ্গে বাজে ব্যবহার, প্রতিবাদ করায় নাক ভাঙলেন তুরান

মারামারি করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন তুরান। ছবি: টুইটার
মারামারি করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন তুরান। ছবি: টুইটার
>

ইস্তাম্বুলের নৈশক্লাবে তুরস্কের খ্যাতনামা এক গায়কের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে তাঁর নাক ভেঙেছেন আরদা তুরান

বার্সেলোনা ছেড়ে গেছেন, ধারে খেলছেন তুরস্কের লিগে। তবু সংবাদ শিরোনাম হওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে পারছেন না আরদা তুরান। তবে ভুল কারণে ভুল কাজ করে। সেটিও খেলার মাঠে নয়, ইস্তাম্বুলের নৈশক্লাবে। সেখানে তুরস্কের খ্যাতনামা পপ গায়ক বেরকের নাককে অবৈধভাবে কড়া ‘ট্যাকল’ (!) করেছেন তুরান। তুর্কি মিডফিল্ডার ঘুষি মেরে বেরকের নাকটাই ভেঙে দিয়েছেন!

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের সেই নৈশক্লাবে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন বেরকে। সেখানে তুরানও ছিলেন। বেরকের জীবনসঙ্গী ওজলেম আদা শাহিনকে দেখে মনে ধরে তুরানের। খেলার মাঠে কড়া ট্যাকলের জন্য সুখ্যাতি ও কুখ্যাতি দুটোই কুড়োনো তুরান ভদ্রতার ধার ধারেননি। সংবাদমাধ্যমকে শাহিন জানান, তুরান তাঁকে ওই সময় বলেছেন ‘নিজের স্ত্রী না থাকলে আমি তোমার প্রতি ঝুঁকতাম।’ চলতি বছরের মার্চে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা আশান দোগানকে বিয়ে করেছেন তুরান। তাঁর জীবনসঙ্গী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।

তুরানের এমন আচরণে শাহিন বেশ বিরক্ত বোধ করেন এবং ঘটনাটা বেরকের কানেও যায়। তুর্কি গায়ক শাহিনকে বাসায় পাঠাতে দেরি করেননি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তুরানের সঙ্গে এ নিয়ে ‘ম্যান টু ম্যান’ কথা বলা। ঘটেছে ঠিক সেটাই। তর্কাতর্কি ও কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বেরকের গায়ে হাত তোলেন তুরান। ঘুষি মেরে তাঁর নাক ভেঙে দেন। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব হয়ে গেলেও বেরকেকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্সেলোনা থেকে তুর্কি ক্লাব বাশাখসেহিরে যোগ দেওয়া এই মিডফিল্ডার গভীর রাতে অস্ত্র নিয়ে সেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে বেরকেকে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানতাম না সে তোমার জীবনসঙ্গী। দুঃখিত, আমাকে মেরে ফেল।’

নৈশক্লাবে কাল তুরানের এই মারামারির ঘটনা ফলাও করে ছেপেছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম। স্পেনেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তুরান নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। ঘটনাটি তিনি অস্বীকার করেননি, তবে ওই সময়ের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার, ‘ছুটির দিনে বন্ধুদের নিয়ে যেখানে গিয়েছিলাম, সেখানে তর্কাতর্কি হয়েছে। তবে প্রতিবেদনগুলোয় যেভাবে এসেছে ব্যাপারটা তেমন নয়—এটা সম্মান রক্ষার ঘটনা ছিল না।’

তবে শাহিন সম্ভবত ব্যাপারটা এখানেই চুকিয়ে দিচ্ছেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইনি সহায়তা নিতে পারেন তিনি। শাহিনের প্রশ্ন, ‘ওঁর গলার কিছু হলে তখন কী হতো? বেরকে তো গলার জন্যই টিকে আছে।’ তুরানের ক্যারিয়ারে হাতাহাতির ঘটনা এই প্রথম নয়। গত মে মাসে তুর্কি লিগে সহকারী রেফারিকে ধাক্কা মেরে রেকর্ড ১৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তুরান। এ ছাড়া গত বছর তুরস্কের জাতীয় দল বহনকারী বিমানে এক ক্রীড়া সাংবাদিকের গায়েও হাত তুলেছিলেন তিনি। এ কারণে তুরানকে তখন বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছিলেন তুরস্কের তৎকালীন কোচ ফাতিহ তেরিম।