সৌদি রাজপুত্রের নজরে পড়েছে ইউনাইটেড!

এবারের বিশ্বকাপেও ফিফার হর্তাকর্তাদের সঙ্গে দেখা গেছে সালমানকে। ফাইল ছবি
এবারের বিশ্বকাপেও ফিফার হর্তাকর্তাদের সঙ্গে দেখা গেছে সালমানকে। ফাইল ছবি

ফুটবলে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ‘ব্র্যান্ড’ এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যুক্তরাষ্ট্রের গ্ল্যাজার পরিবারের মালিকানাধীন এই ক্লাবের বর্তমান মূল্য ধরা হচ্ছে ৩০০ কোটি পাউন্ড। অঙ্কটা বিশাল সন্দেহ নেই। কিন্তু ৮৫ হাজার কোটি পাউন্ড সম্পদের মালিকের কাছ এটা কিছুই না। এমন বিপুল সম্পদেরই মালিক সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার কথা ভাবছেন বিন সালমান।

ডেইলি মেইল ও সানের দাবি, এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে মধ্যপ্রাচ্যের অনুপ্রবেশের অংশ হতে চাচ্ছে সৌদি আরব। কাতারের অর্থে বলীয়ান হয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলে ত্রাস সৃষ্টি করেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। ওদিকে ইংলিশ ফুটবলের চেহারাই বদলে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সেটাও আরব আমিরাতের তেলের অর্থেই। স্প্যানিশ লিগে মালাগাকে নিয়েও এমন আশা দেখেছিলেন আরেক মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবের। তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, লা লিগাতেও তাই আর অর্থের ঝনঝনানি বেজে ওঠেনি।

তেল রপ্তানির অর্থ সৌদি আরবেরও কম নেই। কিন্তু ফুটবল দুনিয়ায় এর কোনো ছাপ নেই। দেশটিকে নতুন করে অন্যদের সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছেন প্রিন্স সালমান। ইংলিশ মিডিয়ার ধারণা এরই ধারাবাহিকতায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কিনে নিতে চাইছেন সৌদি রাজপুত্র। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি এককভাবে কিনবেন নাকি রাষ্ট্রীয়ভাবে ইউনাইটেডকে কেনার চেষ্টা করবেন, এ নিয়েই কৌতূহল। এর আগেই ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ও রেসলিংয়ে ডব্লুডব্লুইতে বিনিয়োগ করেছে সৌদি আরব। কিন্তু ফুটবলে এখনো পর্যন্ত বিনিয়োগ করেনি তারা। বরং দেশে কাতারের মালিকানাধীন বিইন স্পোর্টসকে নিষিদ্ধ করেছে তারা। দাবি করা হয়েছে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের যে খেলা বিইন স্পোর্টসে দেখানো হয় সেগুলো সৌদি আরবে অবৈধভাবে দেখায় বিউটকিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

গত কিছুদিন ধরে প্রশ্নের মুখে আছেন প্রিন্স সালমান। সৌদি রাজতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন করা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি তুরস্কে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে তাদের। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ক্লাব ইউনাইটেডকে কেনার চেষ্টায় সত্যতা কতটুকু আর কতটুকু ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা, এ নিয়েও কৌতূহল বাড়ছে।