তুষার ইমরানের আরেক কীর্তি

>জাতীয় লিগের চতুর্থ পর্বের সব ম্যাচই হয়েছে ড্র। তবে এই পর্বটা মনে রাখতে হবে তুষার ইমরানের কীর্তির কারণে।

কাল রাতে যখন তুষার ইমরানকে প্রশ্ন করা হলো, ঘটনা কী, দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি নেই যে? দেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান হাসলেন। অথচ দুই ইনিংস আগেও করেছেন জোড়া সেঞ্চুরি! সেঞ্চুরি তাঁর কাছে ‘ডাল–ভাত’ হয়ে গেছে বলেই রসিকতার সুরে প্রশ্নটা করা। যতই রসিকতা করা হোক, প্রশ্নটা যে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন, সেটি আজ জাতীয় লিগের চতুর্থ পর্বের শেষ দিনে বোঝা গেল।

গত জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছিলেন তুষার। ১০ মাস না পেরোতেই তুষারের আরেক রেকর্ড, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন ১১ হাজার রান। দুর্দান্ত এ রেকর্ডের সঙ্গে খুলনায় রংপুরের বিপক্ষে ‘বোনাস’ হিসেবে এসেছে ৩১তম সেঞ্চুরি। ‘বছরের শুরুতে ১০ হাজার করেছিলাম, শেষ দিকে এসে ১১ হাজার। আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। ছুঁতে চাই ১২ হাজার রানের মাইলফলকও’—আত্মবিশ্বাসী তুষার জানিয়ে রাখলেন, বয়স ৩৪ হতে পারে, কিন্তু তিনি জানেন কীভাবে ছুটতে হয়। ৯ হাজার থেকে ১০ হাজারে পৌঁছাতে তুষারের লেগেছিল ১৪ ইনিংস। ১০ হাজার থেকে ১১ হাজারে পৌঁছাতেও লেগেছে সমান ইনিংস।

তুষারের সেঞ্চুরি আর জিয়াউর রহমানের ৬৩ রানে ৯ উইকেটে ৩৩৪ করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। শেষ সেশনে ৩২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব নয় বলে রংপুর ১ উইকেটে ৯১ তুলতেই ম্যাচ ড্র। আউটফিল্ড ভেজা থাকায় দুই দিন খেলা না হওয়া বরিশালের ম্যাচটি অনুমিতভাবেই ড্র। তবে বরিশাল–রাজশাহী ম্যাচটি বিশেষ তাৎপর্য হয়ে থাকবে শাহরিয়ার নাফীসের কাছে। বরিশালের ওপেনার এবারের জাতীয় লিগে প্রথমবারের মতো দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের।

ড্র হয়েছে বগুড়ার ঢাকা মহানগর–চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচটিও। চট্টগ্রামের নাঈম পেয়েছেন ১১৯ রানে ৬ উইকেট। কক্সবাজারে ড্র সিলেট–ঢাকা বিভাগের ম্যাচটিও। আজ জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচই ড্র! কক্সবাজারে মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আফসোসে পুড়েছেন সিলেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রাজিন সালেহ।