'না খেলে ফিট থাকা যায় না'

প্রথম আলোর মুখোমুখি সাকিব আল হাসান। ছবি: কবির হোসেন
প্রথম আলোর মুখোমুখি সাকিব আল হাসান। ছবি: কবির হোসেন
>

সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট নিয়ে বিভ্রান্তি আর বিতর্কের শেষ নেই। তারেক মাহমুদকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেসব নিয়েই কথা বলেছেন টেস্টের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার

প্রশ্ন: আপনার আঙুলের চোটের ঘটনাপ্রবাহে কিছু বিষয়ে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যায়। আপনি হয়তো একটা বলছেন, বোর্ড বলছে আরেকটা, সংবাদমাধ্যমেও নানা রকম কথা আসছে। যেমন আপনি কখনোই বলেননি যে এশিয়া কাপে বোর্ড আপনাকে জোর করে খেলিয়েছে। বরং আগেই বলেছেন, ওটা আপনার সিদ্ধান্ত ছিল। তারপরও এ নিয়ে ভিন্ন আলোচনা আছে। এসব অস্পষ্টতার কারণ কী?
সাকিব আল হাসান: দেখেন, ওই ধরনের কথা আমি বলিনি, আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতিও বলেননি। জানি না এ নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে কেন। আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আমাকে বলা হয়েছিল, ‘যদি তুমি মনে করো খেলতে পারবে, তাহলে খেলে ফেলো।’ এশিয়া কাপ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাদ দিলে এটাই সবচেয়ে বড়। স্বাভাবিকভাবে আমিও খেলতে চেয়েছি। ফিজিওর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া। কিন্তু কেউই তো আসলে কল্পনা করেনি সংক্রমণ হয়ে যাবে। এটা তো অপ্রত্যাশিতভাবে এসে গেছে। জিনিসগুলো ঠিক এভাবেই ঘটেছে। এখানে এত বেশি বিতর্ক তৈরির কিছু আছে বলে মনে করি না। আমি তো বারবারই বলছি, বোর্ড থেকে কখনো আমাকে খেলার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি।

প্রশ্ন: ভুল-বোঝাবুঝির আরেকটা জায়গা হচ্ছে...
সাকিব: (প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়ে) জানি না আমার বিষয়ে কেন সব সময় ভুল-বোঝাবুঝিই হয় (হাসি)। এটা আমার একটা বড় প্রশ্ন। আমি কি স্পষ্টভাবে কিছু বলি না, নাকি অন্যরা অন্য তথ্য দেয়? আমি সম্প্রতি এনওসি চেয়েছি এমিরেটস টি-টোয়েন্টির জন্য, যেটা হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। সব ঠিক থাকলে আমার ওই সময় ফিটই থাকার কথা, খেলতে পারার কথা। এখন এনওসি পাই না পাই সেটা পুরোপুরি বোর্ডের ওপর নির্ভর করবে। এ নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি কেন টি-টেন হয়ে যায়! জানি না এই তথ্যগুলো কোথা থেকে আসে।

প্রশ্ন: বিসিবি কি এটার জন্য এনওসি দিয়েছে আপনাকে?
সাকিব: এখনো পাইনি। হয়তো দেবে না। না দিলেও সমস্যা নেই। এটা বোর্ডের ব্যাপার।

প্রশ্ন: আরেকটা অস্পষ্টতা। বিসিবি বলছে, কোনো চিকিৎসকই কখনো বলেননি সাকিবের আঙুলে অস্ত্রোপচার লাগবে। তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রসঙ্গটা আসছে কেন? ছয় মাস বা এক বছরের আগে অস্ত্রোপচার করা যাবে না, এটাই বা কেন বলছেন?
সাকিব: এ নিয়ে আগেও বলেছি, ভুল-বোঝাবুঝি এড়ানোর জন্য আবার বলছি। সংক্রমণটি স্পর্শকাতর। এটা এখন আমার রক্তে নেই, কিন্তু আঙুলের হাড়ের মধ্যে যদি থাকে, ওখানে তো রক্ত যাচ্ছে না। সেখানে তাই ওষুধ পৌঁছানোর সুযোগ নেই, কাজেই সারারও সুযোগ নেই। এখন চিকিৎসাই হলো, ওষুধ খাওয়া শেষ হওয়ার পর আমাকে অপেক্ষা করে দেখতে হবে সংক্রমণ আছে কি না। যদি তিন মাস, ছয় মাসে সে রকম কিছু না হয়, তাহলে আমার অস্ত্রোপচারের সুযোগ আছে। সবই আসলে সময় এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। আমার হাত যদি ভালো হয়ে যায়, শক্তি বেশি থাকে, সামান্য ব্যথা নিয়েও খেলার মতো অবস্থায় থাকি, তাহলে অস্ত্রোপচার লাগবে না। চিকিৎসকেরা এ কথাই বলেছেন। যেহেতু ছয় মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচারের সুযোগ নেই, এখন সেটা ছাড়াই খেলার পথ বের করতে হবে। সে চেষ্টাই চলছে। তারপরও যদি সমস্যা ফিরে আসে, আমাকে অস্ত্রোপচার করতে হবে। একমাত্র সময়ই বলে দিতে পারে অস্ত্রোপচার লাগবে কি না। আমি যখন অনুশীলন শুরু করব, ম্যাচ খেলা শুরু করব, তখনই সেটা বুঝতে পারব। আমার সঙ্গেও তো অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের কথা হচ্ছে। তাঁরা আমাকে বলেছেন, ‘চেষ্টা করতে থাকো যেন অস্ত্রোপচার ছাড়াই খেলা যায়।’ যদি তা-ই হয়, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! ছোট হোক বড় হোক, অস্ত্রোপচার অস্ত্রোপচারই। স্বাভাবিক মানুষ এটা করে না। সমস্যা হলেই করে। প্রথমবার যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ইনজেকশন নিলাম, তখনই ওরা বলছে, যদি এটা নিয়ে খেলা যায় তাহলে সেটাই যেন করি। যখন আর ইনজেকশনে কাজ হবে না, তখন অস্ত্রোপচার করাতে।

প্রশ্ন: এই মুহূর্তে দলের সব সিনিয়র ক্রিকেটারেরই কোনো না কোনো চোট আছে। অন্যদেরও আছে। বিসিবির সিদ্ধান্ত, বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এই খেলোয়াড়দের যতটা সম্ভব কম ঝুঁকি নিয়ে খেলানোর। এ ব্যাপারে আপনার কী মতামত?
সাকিব: চোট নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তো নেওয়াই যায়। এটাই স্বাভাবিক। চোট যেন না বাড়ে, সেটা যেন সেরে যায়, পুরো ফিট অবস্থায় যেন দলটা থাকে। তবে চোট খেলারই একটা অংশ, সেটা যেকোনো সময় যে কারও হতে পারে। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পারেন আপনি কোমর সোজা করতে পারছেন না। অনেক দিন পর অনুশীলনে গেলেন, একটা দৌড় দিয়েই চোটে পড়তে পারেন বা হঠাৎ বল এসে লাগল গায়ে। তিন-চার সপ্তাহ বাইরে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি বিকল্প খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখা। সেটা থাকলে এসব নিয়ে অত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু থাকে না। হ্যাঁ, বিশ্বকাপটা যেহেতু আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বিসিবি অবশ্যই চেষ্টা করবে। আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে কীভাবে ভালো অবস্থায় থাকা যায়। তবে এর মানে এই নয় যে ছয় মাস বসে থেকে বিশ্বকাপ খেলব। সেটা করলে তো আর ভালো খেলা সম্ভব হবে না। আমরা ফর্ম শব্দটা কেন বলি? কেউ যখন ফর্মে থাকে, তখনই সে ভালো খেলে। একটা ছন্দে থাকে। চেষ্টা থাকবে যেন ওই ছন্দটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি এবং ভালো খেলতে পারি।

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে আপনার খেলাই সবচেয়ে বেশি। আপনার কি মনে হয় না চোট থেকে ফিরেই এ রকম টানা খেললে বিশ্বকাপের আগে আবারও চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকবে?
সাকিব: আমার তা মনে হয় না। এ রকমও তো গেছে আমি টানা পুরো বছর খেলেছি বা দুই বছর খেলেছি। তখন আরও বেশি চাপ পড়ত শরীরের ওপর। তখন তো চোটে পড়িনি। যেটা বললাম, চোট খেলার অংশ। এটা যেকোনো খেলায় হতে পারে। এল ক্লাসিকো আসছে, মেসি চোটে পড়ে গেছে। তার মানে কি এর পরের এল ক্লাসিকোর আগে ওকে আর কোনো ম্যাচ খেলাবে না! এল ক্লাসিকো কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল, ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করবে? একজন খেলোয়াড় চায় ফিট থেকে সব ম্যাচ খেলতে এবং ভালো খেলতে। চোটে পড়াটা তো আমার হাতে নেই। আমি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়ে যেতে পারি। তখন বাকি আট ম্যাচ কী হবে! অনুশীলনেও চোটে পড়তে পারি। এ রকম তো অনেক দেখেছি। আমার একটাই চেষ্টা এখন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিট হয়ে খেলা শুরু করতে চাই। আর মাঠে নেমে তো প্রথম ম্যাচ থেকে ছন্দ না-ও পেতে পারি। চোট থেকে ফেরার পর প্রথম ম্যাচে শরীর চলে না, গা-হাত পা কাঁপতে থাকে, মাথা কাজ করতে চায় না। পিচ মনে হয় ছোট হয়ে গেছে। সব অপরিচিত লাগে। এসব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েই আবার ছন্দে ফিরতে হয়। সেটার জন্য সময়ের দরকার আছে। আমি এক-দুই মাস পরে শুরু করলে এক রকম অবস্থা, ছয় মাস পরে শুরু করলে আরেক রকম অবস্থা। যারা খেলেছে বা খেলা সম্পর্কে যাদের ভালো ধারণা আছে, তারা এটা বুঝতে পারবে।

প্রশ্ন: যেহেতু চোটের মধ্যে আছেন, বেশি খেললে তো বিশ্বকাপের আগে আবার সমস্যা হতেই পারে...
সাকিব: আমি তা মনে করি না। ফিট থাকলে এবং বিসিবি অনুমতি দিলে সব ম্যাচই খেলার ইচ্ছা আছে। আমি মনে করি একজন খেলোয়াড় তখনই সবচেয়ে বেশি ফিট থাকে, যখন সে খেলার মধ্যে থাকে। বিরতি দিয়ে খেললে ফিটনেস থাকে না। আপনি দুই সপ্তাহ পর শুরু করবেন, আপনাকে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। একজন খেলোয়াড়কে খেলার মাধ্যমেই ফিট থাকতে হয়। না খেলে ফিট থাকা যায় না। যত খেলবেন, আপনি তত ফিট। যত কম খেলছেন, আপনি তত কম ফিট। চোটের ভয়ে কেউ খেলবে না, এই চিন্তাটাই ভুল।

প্রশ্ন: মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে যেমন জাতীয় দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বাইরের টুর্নামেন্টে খেলার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত যদি আপনার ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়, কী বলবেন?
সাকিব: আমার মনে হয়, এটা খুব সম্ভবত সঠিক চিন্তা নয়। আমার আজকের এই জায়গায় আসার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ আমি বাইরের এক্সপোজারটা পেয়েছি। কাউন্টি, আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো খেললে একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস আসে, যে ধরনের চিন্তাভাবনা আসে, আমাদের মতো দেশে শুধু জাতীয় দলে খেলে এটা খুব কম খেলোয়াড়ের মধ্যেই আসবে। তবে হ্যাঁ, যদি এমন হয় আমি পুরোপুরি ফিট নই, শতভাগ সুস্থ নই, কারও বলতেও হবে না। নিজে থেকেই বিশ্রাম নিয়ে নেব। এ রকম অনেক টুর্নামেন্টেই আমার এনওসি হয়েছে, আমার খেলার কথা ছিল, কিন্তু আমি খেলিনি। এ কারণে ওই সব টুর্নামেন্ট থেকেও আমি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। তারা বলেছে, মাঝপথে কেন না করে দিলাম। এ রকম ঘটনা আছে। বিষয়টা এমন নয় যে ফিট থাকি আর না থাকি, একটা টুর্নামেন্ট খেলতে হবে বলেই আমি চলে যাব। সেটাই যদি হতো আমি তো সব জায়গায় খেলে বেড়াতে পারতাম! এ বছরও আমি হজের জন্য সিপিএলে খেলা বাতিল করেছি। ওটার জন্য বোর্ডও এনওসি দিয়েছিল। আমি একজন পেশাদার খেলোয়াড়। আমার কাজই খেলা। এটা আমার আয়রোজগারেরও জায়গা। আমাকে তাই সব দিকই দেখতে হবে। আমি অবশ্যই দেশের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার মানে এই নয় যে আমি আর কোনো খেলা খেলতে পারব না। হ্যাঁ, জাতীয় দলে খেলতে ফিট হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, আমি সবই করব। আমি তো মনে করি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আইপিএলই পারফরম্যান্সের দিক থেকে আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হবে। আইপিএলে যাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাব, তাদের সঙ্গেই তো বিশ্বকাপ খেলব। তাদের সঙ্গে যদি আমি ভালো খেলতে পারি, আমার আত্মবিশ্বাসটা কোন জায়গায় থাকবে! কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরের পর আয়ারল্যান্ড যাওয়ার আগে দেড়-দুই মাস বসে থাকলে তো আমার ছন্দই থাকবে না। সব নতুন করে শুরু করতে হবে। তবে যদি দেখি আমার আঙুলে চোট আছে বা শরীরে অন্য কোনো সমস্যা আছে, তাহলে আমি অবশ্যই খেলব না। এমনকি আমি যদি ফিট না থাকি তাহলে বিশ্বকাপের মতো জায়গায়ও খেলা ঠিক হবে না। কারণ, আমি তখন সেরা খেলাটা খেলতে পারব না। একজন খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। এই সুযোগ কে ছাড়বে বলেন! অনেক সময় মানুষকে বলতে শুনি, আমার খেলার ইচ্ছা নেই। আমি শুধু টাকার জন্য খেলি। আমার প্রশ্ন, আমি কি কখনো এমন কথা বলেছি? কোনো দিন বলেছি আমি, আমার দেশের জন্য খেলার ইচ্ছা নেই? অথবা আমার মধ্যে কখনো কমিটমেন্টের অভাব দেখেছেন কেউ? যদি আমার দেশের প্রতি কমিটমেন্ট না থাকত, ওই জেদই না থাকত, তাহলে তো দলের হয়ে আমি অবদানও রাখতে পারতাম না।

প্রশ্ন: তার মানে জাতীয় স্বার্থে আইপিএলের মতো বাইরের টুর্নামেন্টগুলোতে না খেলার ত্যাগও স্বীকার করতে পারেন আপনি?
সাকিব: অবশ্যই। কেন নয়! যদি মনে হয় এটা করলে বা ওখানে খেললে জাতীয় দলের হয়ে আমার খেলাটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমি তখন যেকোনো কিছু ছাড়তে রাজি। কিন্তু আমার যদি মনে হয় খেলাটা আমার উন্নতির জন্যই দরকার, খেললে আমার ভালো হবে, তাহলে খেলতে চাইব। আমি যখন আইপিএল, পিএসএল, সিপিএলে ভালো খেলে আসি, আমার মনের মধ্যে আলাদা একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে। ওই সব জায়গায় বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে আমার ওপর দৃষ্টিটা বেশি থাকে। কাউন্টিতে একজন বিদেশি খেলোয়াড়, তার পারফরম্যান্সের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। ওখানে যখন ভালো খেলে আসি তখন আত্মবিশ্বাসটাই থাকে অন্য রকম। আমার তো সেটারও দরকার আছে। এ জন্যই বলি, যখন যে সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়ার দরকার হয়, সেটাই আমি নেওয়ার চেষ্টা করব।