লক্ষ্যটা নাগালেই রেখেছে বাংলাদেশ

>প্রথম ওয়ানডে তাহলে ভুল ইঙ্গিত দেয়নি!

মিরপুরে ম্যাচ যত এগিয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং তত উজ্জ্বল হয়েছে। ম্যাচ আগেই হেরে বসা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেদিন। চট্টগ্রামে আজ জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভিন্ন এক চেহারা দেখাল জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক ছন্দে খেলেছে সফরকারীরা। ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা—দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সবাই। তবে জিম্বাবুয়েকে নাগালের বাইরে যেতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ ১০ ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান করেছে সফরকারীরা।

অপরিবর্তিত এক দল নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাতেই ১৬ বছর পর ঘরের ছেলে ছাড়া এক ওয়ানডে দেখতে হলো চট্টগ্রামবাসীকে। অপরিবর্তিত দল নিয়ে প্রায় অপরিবর্তিত এক ম্যাচই দেখার আশা ছিল বাংলাদেশের। বিশেষ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যখন জানুয়ারির পর প্রথম ওয়ানডে উইকেট পেলেন পঞ্চম ওভারেই। নিজের পঞ্চম বলেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভস বন্দী করেছেন সাইফউদ্দিন। ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যা এক পলকেই দ্বিগুণ হয়ে গেল এই অলরাউন্ডারের।

সাইফউদ্দিনের ক্যারিয়ারের উইকেট সংখ্যা যখন তিন হলো, সেখানেও অবদান থাকল মুশফিকের গ্লাভসের। তবে মুহূর্তটি সাইফের চেয়ে মুশফিকই বেশি মনে রাখবেন। পরিসংখ্যানের বিচারে ওয়ানডের সেরা দশ উইকেটরক্ষকের দারুণ এক তালিকায় ঢুকে পড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বাংলাদেশ দল অবশ্য এই উইকেটপ্রাপ্তিতে আনন্দের চেয়ে স্বস্তিই বেশি প্রকাশ করল। কারণ,প্রথম ওয়ানডেতে শেষে ঝড় তোলা উইলিয়ামসের উইকেট ছিল সেটি। শেষ ১২ ওভারের জন্য নতুন আক্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে হলো জিম্বাবুয়েকে।

তবে বাংলাদেশ যদি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চাইলে, এর ৮ ওভার আগের ঘটনাতেই তুলতে পারে। মাত্র ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ১০ ওভারেই ৫৭ রান তুলে ফেলেছিল। ১০০ ছুঁয়েছে ২১তম ওভারেই। পুরো কৃতিত্ব ব্রেন্ডন টেলরের। বাংলাদেশের বোলার বিশেষ করে স্পিনারদের একদমই থিতু হতে দেননি এই ব্যাটসম্যান। ৩০ ওভারের মধ্যেই দেড় শ প্রায় ছুঁই ছুঁই করছিল জিম্বাবুয়ের। এমন অবস্থায় বল তুলে দেওয়া হলো মাহমুদউল্লাহর কাছে। দ্বিতীয় বলে চার খাওয়ার পর সিদ্ধান্তটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার চিন্তা মাথায় আসি আসি করছিল। পরের বলেই এলবিডব্লু টেলর (৭৫)। ১৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের তিন শ পার করার স্বপ্নটা ওখানেই প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

এরপরও উইলিয়ামস আশা জাগিয়েছেন। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার ঠিক আগমুহূর্তে সাইফউদ্দিনের বলে আউট হয়ে গেছেন তিনিও (৪৭)। আবারও ইনিংস মেরামতে নামল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ৪৬ ও ৪৭ ওভারে ৬ বলের মধ্যে রাজা (৪৯) ও মুরের (১৭) বিদায় নিশ্চিত করল খানিক আগের সম্ভাব্য ২৮০ রানটাও পাচ্ছে না জিম্বাবুয়ে। ২২৯ রানে ৬ উইকেট হারানো সফরকারীরা শেষ ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান তুলেছে।