১৬ বছর পর নেই কোনো চাটগাঁইয়া পোয়া

তামিমের চোটে একমাত্র প্রতিনিধিকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ফাইল ছবি
তামিমের চোটে একমাত্র প্রতিনিধিকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ফাইল ছবি
>

বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে একাদশে চট্টগ্রামেরই ছিল সাতজন প্রতিনিধি। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেই একজনও! দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই প্রথম চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে দেখা যায়নি চট্টগ্রামের কোনো ক্রিকেটারকে

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই হয়তো চট্টগ্রামের ক্রিকেটপ্রেমীদের তেমন আগ্রহ নেই। বাংলাদেশ দল ফিল্ডিংয়ে নামার সময়ও গ্যালারি খাঁ খাঁ করছিল। দু-একটি কোনায় মেরে কেটে শ’খানেক দর্শক। অথচ জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলা মানেই টইটম্বুর গ্যালারি—এত দিন তাই দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ের সময় হয়তো এই চিরাচরিত চেহারার দেখা মিলতে পারে। তবুও আগের তুলনায় আজ দর্শকসংখ্যা বেশ কম। চট্টগ্রামের ক্রিকেটপ্রেমীরা তো আগেই জানতেন, ম্যাচটা তাঁদের ঘরের মাঠে হলেও কোনো ঘরের ছেলে খেলবে না।

তামিম ইকবাল চোট না পেলে ভিন্ন কথা ছিল। ঘরের ছেলের খেলা দেখতে তখন হয়তো উপচে পড়ত জহুর আহমদের গ্যালারি। কিন্তু এশিয়া কাপে তামিম আঙুলে চোট পাওয়ায় এই সিরিজটা খেলতে পারছেন না। তা ছাড়া এই সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াডে চট্টগ্রামের আর কোনো খেলোয়াড়ও নেই। তাই আজ চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টলাবাসীর ঘরের কোনো খেলোয়াড়কে দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। চট্টগ্রামে খেলা অথচ সেখানকার স্থানীয় কোনো খেলোয়াড় থাকবে না! বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন ঘটনা গত ১৬ বছরে আজই প্রথম।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত দুটি স্টেডিয়ামে (এম এ আজিজ ও জহুর আহমদ) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ গড়িয়েছে। এই জেলা শহরে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই তামিমের উপস্থিতি। গত ১১ বছরে ঘরের মাঠে খেলেছেন এই ঘরের ছেলে। তার আগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আফতাব আহমেদ। অর্থাৎ ২০০৭ সালে তামিমের ওয়ানডে অভিষেক ঘটার আগের বছর ডিসেম্বরেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে খেলেছেন আফতাব। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়িয়েছিল এই ম্যাচ।

আফতাবের আগেও চট্টগ্রামের মাঠে স্থানীয় হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাফিস ইকবাল। ২০০৩ সালে মাত্র একটি ওয়ানডে হয়েছে চট্টগ্রামের মাটিতে। ৭ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে অভিষেক ঘটেছিল তামিমের অগ্রজ নাফিসের। অর্থাৎ ২০০৩ সাল থেকে চট্টগ্রামের মাটিতে ওয়ানডেতে ন্যূনতম একজন হলেও স্থানীয় খেলোয়াড়ের উপস্থিতি দেখা গেছে। আজকের আগে অনুপস্থিতির সর্বশেষ নজির ২০০২ সালে। সে বছর দুটি ওয়ানডে গড়িয়েছে চট্টগ্রামে। জানুয়ারিতে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে অভিষেক ঘটেছিল চট্টগ্রামেরই পেসার তারেক আজিজের। কিন্তু সেই বছরের নভেম্বরে একই স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন না চট্টগ্রামের কোনো ক্রিকেটার।