৭ গোল হজম করে বাছাইপর্ব শুরু বাংলাদেশের

দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ডকে থামাতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার অাখি খাতুন। ছবিঃ বাফুফে
দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ডকে থামাতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার অাখি খাতুন। ছবিঃ বাফুফে

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে কুলিয়ে উঠতে পারবে না, এটা অনুমেয়ই ছিল। কত কম গোল হজম করতে পারে, আগ্রহ ছিল এটা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৭-০ গোলে হেরে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে তিন গোল হজমের পর দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল হজম করে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শক্তির পার্থক্য আকাশ-পাতাল। দ্বিতীয়বারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ বাছাইপর্বে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। আর তিনবার চূড়ান্ত পর্বে খেলা দক্ষিণ কোরিয়া শিরোপা জিতেছে দুইবার। যদিও গত আসরটি ভালো কাটেনি তাদের। বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। এবার অবশ্য দুর্দান্ত শুরু, বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করল তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এই তো কিছুদিন আগেই নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা ঘরে তুলেছে মিসরাত জাহান, তহুরারা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দলগুলোর বিপক্ষেও মুড়ি মুড়কির মতো গোল করে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাদ যায় না মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। কিন্তু নারী ফুটবলে গুরুত্ব দেওয়া দূর প্রাচ্যের দেশগুলোর বিপক্ষে এখনো কুলিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ।

এই আসরের বাছাই পর্বের প্রথম ধাপে ছয়টি গ্রুপের সেরারা পৌঁছে যাবে দ্বিতীয় ধাপে। এ ছাড়া ছয় গ্রুপের মধ্য থেকে সেরা দুটি গ্রুপ রানার্সআপও পাবে পরের ধাপে খেলার সুযোগ। বাংলাদেশও চায় সেরা রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় স্তরে নাম লেখাতে। আগামী পরশু চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।