টেন্ডুলকারকে টপকে কী বললেন কোহলি?

আরেকটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি। ছবি: এএফপি
আরেকটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি। ছবি: এএফপি

একদিনেই দুই কিংবদন্তিকে টপকানো চাট্টি খানি কথা নয়। কিন্তু বিরাট কোহলি সেটাই করেছেন। গতকাল ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন কোহলি। তাঁর আগে এ কীর্তি করেছেন আরও ১২ জন। সবচেয়ে কম ইনিংসে কীর্তিটা ছিল শচীন টেন্ডুলকারের আর সবচেয়ে কম সময়ে ১০ হাজার রান পেয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। মানে গত পরশু পর্যন্ত এ দুটো রেকর্ড তাঁদের ছিল। গতকাল সন্ধ্যা থেকে দুটো রেকর্ডই এখন কোহলির।

ওয়ানডেতে প্রথম ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারের। ২০০১ সালে ক্যারিয়ারের ২৬৬তম ওয়ানডে ম্যাচে ২৫৯তম ইনিংস খেলার পথে গড়েছেন এ রেকর্ড। ২০০৮ সালে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত কোহলি ক্যারিয়ারের ২১৩তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন কাল। ক্যারিয়ারের ২০৫তম ওয়ানডে ইনিংসেই ১০ হাজার রান হয়ে গেছে তাঁর। অর্থাৎ টেন্ডুলকারের চেয়ে ৫৩ ম্যাচ ও ৫৪ ইনিংস কম খেলেই রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন কোহলি। অভিষেকের পর সময় বিচারেও কোহলি দ্রুততম। ওয়ানডেতে এর আগে সবচেয়ে কম সময়ে (১০ বছর ৩১৭ দিন) ১০ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর রেকর্ডটি ছিল দ্রাবিড়ের। ১০ বছর ৬৮ দিন সময় নিয়ে এই রেকর্ডও দখলে নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

এমন কীর্তির দিনে স্তুতি আর প্রশংসায় ভেসেছেন কোহলি। তবে টান টান এক উত্তেজনাকর টাই ম্যাচের ফলে গতকাল কোহলির নিজের কীর্তি নিয়ে মুখ খোলেননি। আজ জানা গেছে তাঁর প্রতিক্রিয়া। টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলার পরও কোহলি বিনয়ের অবতার হয়ে আছেন। ভারত দলে খেলতে পারছেন এতেই নাকি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন অধিনায়ক, ‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি এতেই আমি গর্বিত। দশ বছর ধরে খেলার পরও মনে হয় এখনো কিছুই হতে পারিনি।’

এখনো কিছুই হতে না পারা ব্যক্তিটি তিন সংস্করণেই ভয় জাগানো এক ব্যাটসম্যান। র‍্যাঙ্কিং যাই বলুক না কেন, কোহলিই যে বর্তমানে সব সংস্করণেই সেরা ব্যাটসম্যান এ নিয়ে দ্বিমত করতে পারবেন না কেউ। কোহলি যদিও দাবি করছেন, এসব অর্জন তাঁর জন্য কল্পনাতীত, ‘আমি কৃতজ্ঞ এবং আশীর্বাদপুষ্ট। আমি জীবনেও কল্পনা করিনি ক্যারিয়ারে এ পর্যায়ে আসতে পারব। কিন্তু এটাই হয়েছে এবং আমি খোদাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমি কৃতজ্ঞ।’