অস্ট্রেলিয়ার এমন ব্যাটিং!

কাল্টার-নেইলের ৩৪ রানের ইনিংসটি বড় একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে অস্ট্রেলীয়দের কাছে। ছবি: এএফপি
কাল্টার-নেইলের ৩৪ রানের ইনিংসটি বড় একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে অস্ট্রেলীয়দের কাছে। ছবি: এএফপি
>

আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিং করে ১৫৫ করা পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেছে ৬৬ রানে। এটি নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।

অ্যারন ফিঞ্চ বিপর্যয়টাকে তুলনা করেছেন ‘স্লো মোশনে ঘটে যাওয়া গাড়ি দুর্ঘটনার সঙ্গে। আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের গড়া ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার যা হয়েছে (৮৯ রানে গুটিয়ে যাওয়া), তাতে এর চেয়ে মোক্ষম উপমা বোধ হয় ফিঞ্চ আর পেতেন না।

ফিঞ্চই প্রথম ফিরেছিলেন। ইমাদ ওয়াসিমের বলে জায়গা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে তিনি বোল্ড। এরপরই সেই ‘দুর্ঘটনা’। স্কোরবোর্ডে ২২ রান উঠতেই নেই অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট! বোল্ড চার ব্যাটসম্যান। কেবল বেন ম্যাকডারমট হয়েছেন রান আউট। আর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। তবে এমন বাজে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরেও এটিকে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ হতে দেননি অ্যাশটন অ্যাগার ও নাথান কাল্টার-নেইল। অ্যাগার করেছেন ১৯ আর কাল্টার-নেইল ৩৪। এই দুইয়ের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থেমেছে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহে—৮৯। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। সেটি টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ২০১৪-তে ভারতের বিপক্ষে আরও একবার একশর নিচে অলআউট হয়েছিল তারা। সেবার স্কোর ছিল ৮৬।

এমন বাজে পারফরম্যান্সে দায়ভার পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন ফিঞ্চ। বলেছেন, তিনি দলকে ঠিকমতো নেতৃত্ব দিতে পারেননি, ‘পাওয়ার প্লেতে ৫/৬ উইকেট দ্রুত হারানোটাকে কোনোভাবেই আপনি আদর্শ কিছু বলতে পারেন না। দলকে একটা সুন্দর শুরু এনে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। আমি পারিনি। যখন আপনি প্রথম ওভারেই ফিরে যাবেন, সেটি অধিনায়ক হিসেবে মোটেও ভালো কিছু নয়।’

পাকিস্তানের পক্ষে এ ম্যাচে আগুন ঝরিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। তিনি ২০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া শাহীনশাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী ও শাদাব খান দুজনই।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহটাকে মোটামুটি নাগালের ভেতরেই রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের ১৫৫ রানের সংগ্রহে বাবার আজমের ৬৮ আর মোহাম্মদ হাফিজের ৩৯ ছাড়া বলার মতো কোনো স্কোরই নেই পাকিস্তান-শিবিরে। তবে শেষ দিকে হাসান আলীর ৮ বলে ১৭ রান সংগ্রহটাকে ভদ্রোচিত করতে যথেষ্ট কাজে লেগেছে। কিন্তু পরে অস্ট্রেলিয়ার বাজে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঢেকে গেছে ভালোভাবেই।