ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই বাংলাদেশের

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির ছাপ নেই বাংলাদেশের
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির ছাপ নেই বাংলাদেশের
>

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সেই তলানিতেই বাংলাদেশ দল। গতকাল প্রকাশিত নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ের বরং এক ধাপ নিচে নেমে গেছে জেমি ডের দল। ১৯৩ থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৯৪! ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে মোট দেশের সংখ্যা ২১১।

মাঝে মাঝে আশার আলো যে দেখা যায় না তা কিন্তু নয়। তবে সব মিলিয়ে দেশের ফুটবল যে খুব একটা ভালো অবস্থায় আছে সেটি বলা যাচ্ছে না। সাফ ফুটবলে ভুটান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখানো বাংলাদেশ স্বাগতিক হওয়া সত্ত্বেও সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কাপে লাওসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেললেও হারতে হয়েছে ফিলিপাইন ও ফিলিস্তিনের কাছে। যদিও মাঠের পারফরম্যান্সে অনেকেই আশার আলো দেখেছিলেন, কিন্তু ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির কোনো লক্ষ্মণ নেই। সদ্য প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৩ থেকে ১৯৪ নেমেছে বাংলাদেশ। র‍্যাঙ্কিংয়ে মোট দলের সংখ্যা ২১১।

২০১৮ সালটা একেবারে মন্দ নয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য। জাতীয় দল মার্চ মাসে লাওসের ভিয়েনতিয়েনে স্বাগতিক দলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। সেটি ছিল ১৭ মাস পর বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আগস্টে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে জাতীয় দল না খেললেও অনূর্ধ্ব-২৩ দল কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গিয়েছিল। যদিও এশিয়াডের ফল ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে কোনো প্রভাব রাখে না।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ইংলিশ কোচ জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় দল খুব খারাপ করছে না। বিপলু, সুফিল, বিশ্বনাথ, বাদশাদের খেলার ধরনে এসেছে নতুনত্ব, ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার কথা বিবেচনা করে খেলার ছক ও কৌশলে জেমি ডে প্রতিনিয়ত আনছেন ভিন্নতা। এমনকি কিছুদিন আগে বাফুফে সভাপতি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান দলটা ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা! বাংলাদেশের পুরুষদের ফুটবলে এসব দিকগুলো ইতিবাচক হলেও ফলাফলে সে ধরনের উন্নতির ছাপ দেখা যায়নি, যার প্রতিফলন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে স্পষ্ট। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে লাওস, ভুটান, পাকিস্তানের মতো খর্বশক্তির দলের সঙ্গে জয়লাভ করে আত্মতৃপ্তি পাওয়া গেলেও ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো দলের সঙ্গে না খেললে আর জয় না পেলে কোনো লাভ নেই। আর নিয়মিত শক্তিশালী দলের সঙ্গে না খেলে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, লাওসের মতো খর্বশক্তির দলের সঙ্গে খেললে কখনই ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরে ওঠা যাবে না।

কিন্তু বাফুফে কবে বুঝবে এ কথাটা?