জিম্বাবুয়ে থামল ২৮৬ রানে

লড়ে যাচ্ছেন শন উইলিয়ামসন। ছবি: শামসুল হক
লড়ে যাচ্ছেন শন উইলিয়ামসন। ছবি: শামসুল হক

শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার। ২ ওভার থেকে এলে মাত্র ৭ রান। সেঞ্চুরি করে উইকেটে সেট শন উইলিয়ামসের ওপর দারুণ ভরসা করে ছিল জিম্বাবুয়ে, তিনি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন ঠিকই, কিন্তু দলের সংগ্রহটা তিনশ পেরোল না। চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৮৬। 

উইলিয়ামস অপরাজিত থাকলেন ১৪৩ বলে ১২৯ রান করে। ১০ চার ও এক ছক্কায় সাজানো তাঁর এই ইনিংস কী বাজে অবস্থাতেই না তিনি মাঠে নেমেছিলেন! দলের রান ৬, নেই ২ উইকেট। বাংলাদেশের দুই ওপেনিং বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দারের জোড়া আঘাতে ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়ে দল। ব্রেন্ডন টেলর আগেই নেমেছিলেন, উইলিয়ামস একটু পর। প্রথমে বাংলাদেশের বোলারদের পরখ করলেন, ধীরে ধীরে খুললেন হাত। দুজনে মিলে দেখতে দেখতেই গড়ে তুললেন ১৩২ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঠে তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটি রেকর্ড।

১৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস। ছবি: শামসুল হক
১৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস। ছবি: শামসুল হক

টেলর ৭২ বলে ৭৫ রান করে ফেরেন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে। সপাটে চালাতে গিয়ে তাঁর বলে টপ এজ করেন টেলর। বল উঠে যায় সোজা আকাশে। পেছন থেকে এসে টেলরের ক্যাচটি ধরতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের। তৃতীয় উইকেট জুটির পর উইলিয়ামসের সঙ্গে সিকান্দার রাজা গড়েন ৮৪ রানের আরও একটি ভালো জুটি। ৯৩ বলে ৮৪ রানের এই জুটি বড় সংগ্রহের পথে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেয় অনেকটাই। রাজাকে ফেরান নাজমুলই। ফুলটস বলে স্লগশট খেলতে গিয়ে লং অনে সৌম্যকে ক্যাচ দেন তিনি। রাজার ব্যাট আসে ৪০ রান। টেলর মারেন ৮টি চার ও ৩ ছক্কা।

শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন সাইফউদ্দিন। ছবি: শামসুল হক
শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন সাইফউদ্দিন। ছবি: শামসুল হক

রাজা ফেরার পর পিটার মুর যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন। এই মুহূর্তে ২১ বলে ২৮ রান করে রান আউটের খাঁড়ায় পড়েন তিনি। লং অফ থেকে বল ধরে দারুণ এক থ্রোতে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে মুরের স্টাম্প ভাঙেন আরিফুল হক। আউট হওয়ার আগে উইলিয়ামসের সঙ্গে তাঁর জুটিটি ৬২ রানের। 

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরচে নাজমুল। ৮ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে ৫১ রানে ১ উইকেট । আর আবু হায়দার ৯ ওভারে ৩৯ রানে নিয়েছেন একটি। এ ছাড়া মাশরাফি ব্যবহার করেছেন আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্যকে। এরা যথাক্রমে দিয়েছেন ৩ ওভারে ১৭, ১০ ওভারে ৪০ আর ২ ওভারে ১৬। মাশরাফি নিজে ৮ ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান।

ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে আরিফুল হকের আজ। ছবি শামসুল হক
ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে আরিফুল হকের আজ। ছবি শামসুল হক

লক্ষ্যটা বেশ বড়ই। যে চ্যালেঞ্জ জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা ছুঁড়ে দিয়েছেন, তাতে জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের হতে হবে দুর্দান্ত। লিটন, ইমরুল, সৌম্যদের সঙ্গে আজ মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা তৈরি তো!