বিপিএলে আসছে কোটি টাকার খেলোয়াড়েরা

ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নার আসছেন বিপিএল মাতাতে। ফাইল ছবি
ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নার আসছেন বিপিএল মাতাতে। ফাইল ছবি
>চলছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এর মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে বিপিএলের আওয়াজ। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চেষ্টা করছে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াতে। বিদেশি তারকাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পণ্য করছে না দলগুলো।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের মাঠে পর পর দুটি সিরিজের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অক্টোবর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানুয়ারিতে। কিন্তু একই সময়ে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশও। একই সময়ে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিপিএলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে সংশয়ই তৈরি হয়েছিল।

সংশয়টা এখনো আছে। তবে দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যেভাবে তারকাদের ভেড়াচ্ছে এবং খেলোয়াড়দের পেছনে কোটি কোটি টাকা ঢালতে তৈরি হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, এই বিপিএলেই বরং বেশি বিদেশি তারকাদের সমাবেশ হতে যাচ্ছে। গত বিপিএলের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইলকে অনেক আগ থেকেই চুক্তি করে রেখেছে রংপুর রাইডার্স। রংপুর এবার দলে ভিড়িয়েছে আরেক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে অবশ্য আপাতত শুরুর দিকের কিছু ম্যাচেই পাচ্ছে রংপুর। রংপুরের হয়ে এবার খেলতে আসছেন ইংলিশ মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসও। এই হেলসই নিরাপত্তার কারণ দিয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসতে চাননি ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে।

গতবার তেমন বড় নাম না থাকলেও এবার সিলেট সিক্সার্স আনছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ঢাকা ধরে রেখেছে কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারাইনকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অবশ্য ছেড়ে দিয়েছে জস বাটলারকে। তবে রেখে দিয়েছে শোয়েব মালিককে। রাজশাহী কিংস, খুলনা টাইটানসের ছবিটা ভিন্ন। খেলোয়াড় নন, দুই দল মনোযোগ দিয়েছে তারকা কোচ আনতে। গতবারের মতো এবারও খুলনার প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করবেন লঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। রাজশাহীতে আসছেন ল্যান্স ক্লুজনার।

এই যে বড় বড় তারকা আসছেন বাংলাদেশে, তাঁদের পারিশ্রমিক দিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। স্বাভাবিকভাবেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা গোপন রাখেন বিদেশি তারকাদের পারিশ্রমিকের অঙ্কটা। তবে নানা সূত্রে জানা যায়, ক্রিস গেইল-এবি ডি ভিলিয়ার্স-ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো তারকারা যদি পুরো টুর্নামেন্ট খেলেন, প্রত্যেকের পারিশ্রমিক ছাড়িয়ে যাবে ৩ কোটি টাকা। হেলস-পোলার্ডদের পারিশ্রমিক দেড়-দুই কোটি টাকার কম নয়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চুক্তি হয় দুইভাবে। কেউ পারিশ্রমিক পান ম্যাচ ধরে ধরে, কেউ বা চুক্তিবদ্ধ হন পুরো টুর্নামেন্টের জন্যই। গেইল-ডি ভিলিয়ার্স প্রতি ম্যাচে পেয়ে থাকেন ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার। মানে কিনা এক ম্য্যাচ খেললেই প্রায় ২৫ লাখ টাকা!

বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কোটি কোটি টাকা হলেও স্থানীয় ক্রিকেটারদের ঠিক বিপরীত চিত্র। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা বাদে বাংলাদেশের আর কোনো তারকা ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক ১ কোটি টাকা ছাড়াতে দেখা যায় না। তবে বিদেশি তারকারাও বিপিএলের বড় আকর্ষণ। তাঁদের উপস্থিতি টুর্নামেন্টে বাড়তি রং ছড়ায়।