পাকিস্তানের পক্ষে আবারও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত?

বল স্টাম্পে লাগার সে মুহূর্ত। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
বল স্টাম্পে লাগার সে মুহূর্ত। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
গতকাল ডি’আর্চি শর্টকে রান আউটের সিদ্ধান্তে এখনো বিস্মিত অস্ট্রেলিয়া


আগামীকাল দুবাইয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের ফল নির্ধারণে অবশ্য এর কোনো ভূমিকা থাকবে না। প্রথম ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের পর কালও ১১ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭০ পেরোতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আরেকটি আত্মসমর্পণের গল্পই লেখা হতো। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৫২ রানের ইনিংস দুই দলের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে এনেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার এমন বিপদ নাও হতে পারত। যদি টিভি আম্পায়ার হাস্যকরভাবে ডি’আর্চি শর্টকে রান আউট না বলতেন।

১৪৭ তাড়া করতে নেমে ৩য় ওভারেই শর্টকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইমাদ ওয়াসিমের বলে স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। সেটা ওয়াসিমের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে স্টাম্প ভেঙে দেয়। শর্ট ও ওয়াসিমের শরীরী ভাষায় মনে হয়েছিল,তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে শুধু শুধুই যাওয়া হচ্ছে। বেঁচে যাচ্ছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। ভিডিও রিপ্লেও দেখিয়েছে, যখন স্টাম্প থেকে বেল পড়ছে, তখন শর্টের ব্যাট মাটিতে ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলকে হতভম্ব করে শর্টকে রান আউট ঘোষণা করেন পাকিস্তানি টিভি আম্পায়ার শোযাব রাজা।

ম্যাচ শেষে ম্যাক্সওয়েল এ নিয়ে কথা বলেছেন। এই অলরাউন্ডারের ধারণা আম্পায়ার ভুল বাটনে চাপ দিয়েছিলেন, না হলে এটা আউট দেওয়া সম্ভব না, ‘আমাদের দলের সবাই দেখেছি ওর ব্যাট অবশ্যই লাইনের ভেতর মাটিতে ছিল। কে জানে আম্পায়ার হয়তো ভুল বাটন চেপেছে। আমরা সবাই ভুল করি। কারণ আমরা সবাই ড্রেসিং রুম থেকে দেখেছি, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই (আউট ছিল না)।’

নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে ম্যাক্সওয়েলের যুক্তিটাও ভালো, ‘শর্ট কীভাবে ব্যাট ধরে ছিল, সেটা খেয়াল করলে আপনারাও বুঝবেন।কারণ গ্লাভসের ওপর আলতো করে ওভাবে রেখে ব্যাট বাতাসে থাকা খুবই কঠিন।’ পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ অবশ্য কিছু দেখতে আগ্রহী নন, ‘আমি জানি না কেন এত প্রতিক্রিয়া, ওটা পরিষ্কার আউট!’

এর আগে এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষেও তৃতীয় আম্পায়ার পাকিস্তানের পক্ষে হাস্যকর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। মাঠে থাকা আফগান আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরও টিভি আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার সে সিদ্ধান্ত রেখে দিয়েছিলেন।