কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেল

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল শেখ রাসেল। সৌজন্য ছবি
এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল শেখ রাসেল। সৌজন্য ছবি

একাদশে জাতীয় দলের পাঁচ খেলোয়াড়, চার দামি বিদেশি, বাকি দুজনের একজনের আছে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা। এর চেয়ে ভালো দল আর হয় না কি! মৌসুমের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেলও পেয়েছে প্রত্যাশিত জয়। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। একটি করে গোল করেছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল অনব্রো ও ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার অ্যালেক্স রাফায়েল দ্য সিলভা।

ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল বলতে যা বোঝায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে তার সবই ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ত্রিশ মিনিটে ম্যাচটির মীমাংসা করে দিয়েছেন দুই বিদেশি। প্রথম গোলটি এসেছে নাইজেরিয়ান ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে। দ্বিতীয়টিও তাঁদের রসায়নের ফল।

প্রথমার্ধে একেবারেই নিষ্প্রাণ ফুটবল। শেখ রাসেল বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও গোল করার মতো কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি। সাইফুল বারির টিটুর তিন বিদেশিনির্ভর আক্রমণভাগকে আটকাতে ৫-৩-২ ফরমেশনে নেমেছিল মুক্তিযোদ্ধা। তিন সেন্টারব্যাক খেলিয়ে মিডল করিডরে বাঁধ দিয়ে রেখেছিল মুক্তিযোদ্ধা। এই ট্যাকটিকসের পাল্টা স্ট্র্যাটেজি হলো উইংয়ে খেলা ছড়িয়ে দাও, মাঝমাঠের ‘ট্র্যাফিক জ্যাম’ কাটাও। কিন্তু সেটাও করে দেখাতে পারেনি শিরোপাপ্রত্যাশী শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধেও তেমনটাই চলছিল। ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে আনে একটা কাউন্টার অ্যাটাক।

৭০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে এগিয়ে যায় রাসেল। মুক্তিযোদ্ধার আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামুসা ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন। গোল এরিয়ার পাশ থেকে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল বল কেড়ে নিয়ে এরিয়াল থ্রু দিলেন নাইজেরিয়ান রাফায়েল অনব্রোর উদ্দেশে। প্রতিপক্ষ সেন্টারব্যাকদের গতিতে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন শেখ জামাল থেকে আসা এই স্ট্রাইকার।

যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে এই যুগলের রসায়নে। এবার ব্রাজিলিয়ান রাফায়েলকে দিয়ে গোল করানোর পালা নাইজেরিয়ান রাফায়েলের। অ্যাটাকিং থার্ড থেকে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের উদ্দেশে বল দিলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখে শুনে প্লেসিং, ২-০।

এই জয় নিয়েই আবাহনীকে সঙ্গী করে শেষ আটে চলে গেল শেখ রাসেল। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় মুক্তিযোদ্ধার।