মেসি-রোনালদোর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শেখেন নেইমার

মেসি-রোনালদো না থাকলে হয়তো নেইমারই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতেন। ছবি: এএফপি
মেসি-রোনালদো না থাকলে হয়তো নেইমারই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতেন। ছবি: এএফপি
>বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার লড়াইয়ে মেসি ও রোনালদোর পাশাপাশি সব সময় তৃতীয় যে একজনের নাম প্রায়ই আলোচনার টেবিলে উঠে আসে, তিনি নেইমার। খেলার মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এই দুই মহারথীর কাছ থেকে সব সময়েই কিছু না কিছু শিখছেন নেইমার, জানালেন তিনি।

মোটামুটি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফুটবল বিশ্ব দেখছে মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ—এ বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা লুকা মদরিচ পেলেও মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথটা যে ‘শেষ’, এমনটি বলার সময় এখনো আসেনি। এই কয়েক বছরে মেসি-রোনালদোর পাশাপাশি তৃতীয় সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রায়ই নেইমারের নাম শোনা গেছে, যাচ্ছে। ২৬ বছর বয়সী নেইমার মেসি-রোনালদোর হাত থেকে একদিন বিশ্বসেরার ব্যাটনটা নিয়ে নেবেন, এমনটাই মনে করেন অনেকে। সেই নেইমারই যখন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও মেসি-রোনালদোর কাছ থেকে তিনি নিয়মিত শেখেন, একটু নড়েচড়ে বসতেই হয়!

প্লেয়ার্স ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার লিওনেল মেসিকে নিজের আদর্শই বলেছেন, ‘আমি মেসির সঙ্গে বার্সেলোনাতে খেলেছি, চোখের সামনে তাঁকে আশ্চর্যজনক সব জিনিস করতে দেখেছি। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ফুটবলে মেসিই আমার আদর্শ। প্রতিনিয়ত আমি মেসির কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখেছি, সেটা তাঁর সঙ্গে খেলতে গিয়ে হোক বা তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে অনুশীলন করতে গিয়ে হোক বা তাঁর খেলা দেখে হোক। মেসির কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা আমাকে মাঠের ভেতর আরও ভালো খেলোয়াড় হতে সাহায্য করেছে।’

নেইমার প্রশংসার ঝাঁপি খুলে বসেছিলেন রোনালদোর জন্যও, ‘রোনালদো আসলে একজন জাদুকর। তাঁর বিপক্ষে খেলতে পারাটা সব সময়ই অনেক সম্মানের ও আনন্দের একটা ব্যাপার। তাঁর বিপক্ষে খেলার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়ে তবেই মাঠে নামতে হয়, আর এই প্রস্তুতিটাই ভালো খেলোয়াড় হিসেবে নিজের গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।’

নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিতে মেসি-রোনালদোই নেইমারের মানদণ্ড, ‘এই দুজন খেলোয়াড়ই আছে, যাদের কাছ থেকে আমি সব সময় শিখি, কেননা তাদের মতো আমিও সব সময় উন্নতি করতে চাই, আরও ভালো করতে চাই, আরও গোল করতে চাই, তাদের দুজনের সঙ্গে আমি নিজেকে মেলাতে পারি।’