১১ জন পন্টিং বাংলাদেশের হয়ে খেললেও সেদিন...

অ্যান্টিগা টেস্টে ভয়ংকর এক কন্ডিশনে খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ফাইল ছবি
অ্যান্টিগা টেস্টে ভয়ংকর এক কন্ডিশনে খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ফাইল ছবি
>গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়ে টেস্ট সিরিজে নাকাল হয়েছিল বাংলাদেশ। অ্যান্টিগার প্রথম টেস্টে গুটিয়ে যেতে হয় মাত্র ৪৩ রানে। লজ্জার এক রেকর্ড সঙ্গী হয় সেদিন। তবে বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস বলছেন, ভয়ংকর কঠিন উইকেটে সেদিন খেলতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। উইকেট এমনই ছিল যে ১১ জন রিকি পন্টিং সেদিন বাংলাদেশের হয়ে খেললেও দলের অবস্থা খুব বেশি ভালো হতো না!

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ স্টিভ রোডস অ্যান্টিগার সেই দুঃসহ স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারেন না। সেদিন বাংলাদেশ একটা সেশনও খেলতে পারেনি। গুটিয়ে যায় ৪৩ রানের লজ্জার রেকর্ড নিয়ে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট বলেই রোডসের কথায় এখনো ঘুরেফিরে আসে অ্যান্টিগা টেস্টের সেই তিক্ততায় ভরা সকালটা। বাংলাদেশের কী এমন হয়েছিল যে চোখের পলকে এভাবে দুমড়েমুচড়ে গেল পুরো ব্যাটিং লাইনআপ?

তিনি পুরোনো কথাই বললেন। উইকেট খুবই কঠিন ছিল। কতটা কঠিন, রোডস সেটি বোঝালেন এভাবে, ‘মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছি। অনেক খারাপ পারফরম্যান্স তো অবশ্যই। সত্যি কথা বলতে সেদিন আমাদের যদি ১১ জন রিকি পন্টিং থাকত বড় জোড় ১০০ রান করতে পারতাম। এতটাই কঠিন ছিল উইকেট। টসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত বিপর্যয়ই দেখতে হয়েছে আমাদের। অনেক বেশি কঠিন কন্ডিশন ছিল। বিশ্বের অনেক সেরা ব্যাটসম্যানও ওই উইকেটে খাবি খেত। কোনো অজুহাত দিচ্ছি না, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। কোচ হিসেবে আমি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। আশা করি তারা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাইরেও ভালো করবে।’

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শুধু বিদেশেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় না। দেশেও দিতে হয়। টেস্ট সিরিজে তৈরি করা হয় ঘূর্ণি উইকেট। সেই উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিণত হয় মাইনফিল্ডে! দেশ-বিদেশ মিলিয়ে গত ৬ ইনিংসে বাংলাদেশ একবারও ২০০ রান করতে পারেনি। বিদেশে কঠিন উইকেট বা কন্ডিশন থাকবে। কিন্তু দেশের মাঠে ব্যাটসম্যানদের ভালো উইকেটে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত কি না, এ নিয়ে রোডসের অভিমত হচ্ছে, ‘আপনারা বলছেন যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা হোম কন্ডিশনে ভালো করছে না। এরপরেও আমরা কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলাম। সেটি এই স্পিনিং কন্ডিশনেই। আপনি খেলবেন অবশ্যই জয়ের জন্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিও একই ব্যাপার। আপনি জয়ের জন্যই খেলবেন। দিন শেষে আপনি কেমন খেলেছেন তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো আপনি জিতছেন কি না।’
রোডসের কথায় বোঝা গেল, জয়টাই শেষ কথা। মানুষ যে ওটাই বেশি মনে রাখে।