মেসিকে কীভাবে আটকানো যায়, জানালেন দালিচ

ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিমর্ষ মেসি। ফাইল ছবি
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিমর্ষ মেসি। ফাইল ছবি
>বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়ার কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচটাই নির্বিষ ছিলেন দলের মহাতারকা লিওনেল মেসি। কিন্তু কীভাবে আটকানো সম্ভব হলো তাঁকে?

বার্সেলোনার হয়ে মেসি যেমন অপ্রতিরোধ্য, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ঠিক ততটা নন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আসলে সেই তথ্যটাই যেন নতুন করে ধরা দেয় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। এই বিশ্বকাপের কথাই ধরুন, দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি এবার তেমন কিছুই করতে পারেননি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটায় জ্বলে উঠলেও, টুর্নামেন্টের বাকি তিন ম্যাচে ছিলেন যথেষ্ট নিষ্প্রভ, যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে আর্জেন্টিনার ম্যাচগুলোর ফলাফলেও। প্রথম রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একরকম বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা, মেসিকে সে ম্যাচে দেখা যায়নি স্বরূপে। কিন্তু কীভাবে মেসিকে আটকে রাখা সম্ভব হলো সে ম্যাচটায়? ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ সেই রহস্য উন্মোচন করেছেন অবশেষে!

‘মেসি কেমন অসাধারণ খেলোয়াড় এই নিয়ে বলার অবকাশ নেই কোনো, প্রতি সপ্তাহেই সেটা প্রমাণ করছে। কিন্তু এটাও সত্যি কথা, মেসি বার্সেলোনার হয়ে যেরকম নির্ভার হয়ে খেলে, আর্জেন্টিনার হয়ে তেমনটা পারে না। তাই এই আর্জেন্টিনা দলের দুর্বল দিক কোনটা, সেটা বের করার ব্যাপারে মনোযোগ দিই আমি।’

‘আমি যেটা বুঝলাম, মেসি মাঠের মধ্যে সাধারণত যেসব জায়গায় খেলতে পছন্দ করে, ও যাদের কাছ থেকে বল আদান-প্রদান করতে ভালোবাসে, সেসব পথগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে মেসির কাছে যেন কোনো বল না আসে। দলের মধ্যে যাদের সঙ্গে মেসির রসায়ন সবচেয়ে ভালো, তাঁদের কাছ থেকে পাস আসার রাস্তাটা বন্ধ করে দিতে হবে। মেসি যদি বলই না পায়, তাহলে সে তাঁর জাদু দেখাবে কেমন করে?’

‘দিন শেষে ফুটবল তো একটা দলীয় খেলাই। মেসি যত ভালো খেলোয়াড়ই হোক না কেন, একাই তো সে সবকিছু করতে পারবে না প্রতিদিন। এক দল যদি আরেক দলের থেকে ভালো খেলে, তাহলে খারাপ খেলা দলের কোনো একজনের পক্ষে তো সবকিছু বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। আর সেদিন প্রতি ক্ষেত্রেই আর্জেন্টিনার থেকে ক্রোয়েশিয়া ভালো দল ছিল!’

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচটা ৩-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কা দেখা গিয়েছিল আর্জেন্টাইন শিবিরে। যদিও পরে মেসির জ্বলে ওঠার ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে কোনোভাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয় তারা। কিন্তু সেখানে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার, আর্জেন্টিনার হয়ে একটা আন্তর্জাতিক ট্রফি পাওয়ার অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হয় মেসির।

দালিচের এই বক্তব্য নিশ্চয়ই স্প্যানিশ লিগে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষের সব কোচ নোটবুকে টুকে রাখবেন!