দুই বিদেশি ছাড়াই ম্যাচ জিতল মারুফুলের আরামবাগ

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ। সৌজন্য ছবি
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ। সৌজন্য ছবি
>চট্টগ্রাম আবাহনীকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ

বিদেশি কোটা বাড়িয়ে চারজনে উত্তীর্ণ করায় ধরেই নেওয়া হয়েছে নতুন মৌসুমটা হবে বিদেশি স্ট্রাইকারদের। ফেডারেশন কাপের শুরু থেকে তাঁদের দাপটও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিদেশি স্ট্রাইকার ছাড়াও যে ম্যাচ জেতা যায়, সেটা করে দেখাল কোচ মারুফুল হকের আরামবাগ। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে সমতা এনে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।

এক সেন্টারব্যাক, এক হোল্ডিং মিডফিল্ডার এবং দুই ফরোয়ার্ড—চার বিদেশি নিয়েই মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রামের দল। আরামবাগের একাদশে ছিল শুধু দুই বিদেশি সেন্টারব্যাক নাইজেরিয়ান কিংসলে চুকোদি ও উজবেক বোবোক্সোনোভ নরমাতোভিচ । আক্রমণভাগে পুরোপুরি স্থানীয়দের ওপর ভরসা। অথচ শেষ হাসি গত মৌসুমের স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়নদের। মারুফুলের শিষ্যরা যে হারার আগে হারে না।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে পাল্টা দুই গোল করে সমতা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করার জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর স্নায়ুর লড়াইয়ে জয় পায় আরামবাগ। আবাহনীর মুফতাল আওয়াল প্রথম শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। নাজমুল ইসলাম রাসেলের দ্বিতীয় শট ফিরিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। টাইব্রেকারে আরামবাগের হয়ে গোল করেন নরমাতোভিচ, রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও কিংসলে চুকোদি।

ম্যাচটা অবশ্য টাইব্রেকার পর্যন্ত তো যেতই না। ভাগ্যিস শাহরিয়ার বাপ্পী দুর্দান্ত ভলিতে গোলটা করেছিলেন। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৮৫ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে আরামবাগকে সমতায় ফিরিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।

এক ম্যাচ হাতে রেখে উভয় দলের কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত ছিল। নিয়ম রক্ষার ম্যাচটিই শেষ পর্যন্ত নাটকীয় হয়ে উঠল। আরাফাতের গোলের আগে পেনাল্টি থেকে ২-১ করেছেন উজবেক ডিফেন্ডার নরমাতোভিচ। আর আবাহনী এগিয়ে গিয়েছিল দুই বিদেশি স্ট্রাইকার আওয়ালা মাগালান ও মোমোদুহ বাহ এর গোলে।

৮ মিনিটেই আওয়ালা মাগালানের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে কিরগিজ ড্যানিয়েল ট্যাগোর এরিয়াল থ্রু, আরামবাগের দুই সেন্টারব্যাককে প্রথমে গতিতে পেছনে ফেলেন মাগালান। এরপর এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়েছেন নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার।

২৫ মিনিটে ২-০ করেছেন মোমোদুহ বাহ। বাম প্রান্ত দিয়ে রাইটব্যাক আতিকুজ্জামানকে ঘোল খাইয়ে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে প্লেসিং করেছেন গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকার। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন শেখ জামাল থেকে আবাহনীতে নাম লেখানো বাহ। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে ২-১ করেছে আরামবাগ। বক্সের মধ্যে উইঙ্গার জাহিদ হোসেনকে মোনায়েম খান রাজু ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আরামবাগ। সেখান থেকে ব্যবধান কমাতে কোনো ভুল করেননি নরমাতোভিচ।

৮৫ মিনিটে শাহরিয়ার বাপ্পীর দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে আরামবাগ। বদলি রাইটব্যাক মোহাম্মদ রকির ক্রস বক্সের মধ্য থেকে হেডে ক্লিয়ার করেছিলেন চট্টগ্রামের ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন শাহরিয়ার।