নোফেলের জালে আটকে গেলেন বিশ্বকাপ তারকা

বসুন্ধরার বিপক্ষে ড্র নোফেলের জন্য জয়ের সমানই। ছবি: বাফুফে
বসুন্ধরার বিপক্ষে ড্র নোফেলের জন্য জয়ের সমানই। ছবি: বাফুফে
>নোফেল ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তারা বেজায় খুশি। বিশ্বকাপের ফুটবলার সমৃদ্ধ বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ড্র করেছে তারা। এই ড্র তো জয়ের সমানই।

এত ফাউলের শিকার হলে খেলা যায় ? ম্যাচ শেষে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস এ কথা বললেন। নোফেল স্পোর্টিংয়ের কৌশলেরই সমালোচনা করলেন তিনি। ম্যাচের সময় কলিন্দ্রেসের পায়ে বল গেলেই তাঁকে আটকাতে মরিয়া ছিলেন নোফেলের খেলোয়াড়েরা। এ কারণেই অনেকবারই ফাউলের শিকার হয়েছেন বিশ্বকাপে কোস্টারিকার প্রতিনিধিত্ব করা এই ফুটবলার। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে নোফেলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বিগ বাজেটের দল বসুন্ধরা স্পোর্টিং। গত ম্যাচেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে ড্র করেছিল বসুন্ধরা।
মাঠে আজ কাগজে-কলমে ছিল দুই নবাগতের লড়াই। বসুন্ধরা-নোফেল। কিন্তু শক্তিতে দুই দলের পার্থক্য যথেষ্টই। নোফেল বসুন্ধরার মতো বিগ বাজেটের দল। উন্নত মানের কোনো বিদেশি নেই নোফেলের। এশিয়ান কোটাতেও কাউকে দলে ভেড়াতে পারেনি তারা। ঢাকায় মোটামুটি স্থায়ী বসত গড়া আর এবারের ঘরোয়া মৌসুমে কোনো দল না পাওয়া গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরা, নাইজেরীয় এলিটা জুনিয়াররাই ভরসা তাদের। দল গঠন করতে বিভাগীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট খেলা খেলোয়াড়দের ওপরও ভরসা করতে হয়ে তাদের। অথচ, তাদের সামনেই অসহায় মনে হলো শিরোপা-প্রত্যাশী বসুন্ধরাকে।
স্প্যানিশ কোচ অস্কারের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে রক্ষণ সাজিয়েছিলেন নোফেল কোচ কামাল বাবু। এর সামনে চার মিডফিল্ডার। কলিন্দ্রেসকে রাখা হল জোনাল মার্কিংয়ে। অ্যাটাকিং থার্ডে তাঁর পায়ে বল যাওয়া মানেই ‘ডাবল টিউনিং কমপ্যাক্ট’ ডিফেন্ডিং। এতে সফলও হয়েছেন নোফেল কোচ। উপায়ান্তর না দেখে অনেক নিচে নেমে এসে প্লেমেকারের ভূমিকায় খেলার চেষ্টা করেছেন কলিন্দ্রেস। কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি।
৩৬ মিনিটে বসুন্ধরা এগিয়ে গিয়েছিল মাসুক মিয়া জনির গোলে। বাম প্রান্ত দিয়ে ওভারল্যাপ করে ক্রস করেছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। নোফেল গোলরক্ষক আপেল মাহমুদ বলের ফ্লাইট মিস করলে টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন জনি। ছয় মিনিট পরেই ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। মতিন মিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি তৌহিদুল আলম সবুজ।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ভয়ডরহীন ফুটবল খেলল নোফেল। ৬১ মিনিটে আশরাফুলের গোলে সমতায় ফেরে তারা। বাঙ্গুরার কাছ থেকে পাওয়া বল দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়েছেন এই উইঙ্গার। সমতায় চলতে থাকা ম্যাচে বদলি হিসেবে পাঠানো হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্কোস ভিনিসিয়াসকে। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানও আজ কলিন্দ্রেসের মতো ব্যর্থ। উল্টো যেভাবে খেলছিল নোফেল, ম্যাচটি জিতে গেলেও যেতে পারত তারা।
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে আসা নবাগত দলের কোচ কামাল বাবু ড্র করতে পেরেই বেশ উচ্ছ্বসিত ,‘ তাঁদের এক খেলোয়াড়ের চেয়ে আমার পুরো দলের দাম কম। এই ড্রটা আমাদের কাছে জয়ের সমান। আমার কৌশল ছিল কলিন্দ্রেসকে আটকে দেওয়া। আমরা সফল হয়েছি।’