ডুবন্ত জাহাজে চড়েছেন অঁরি!

হতাশ চেহারাই বলে দিচ্ছে ভালো নেই থিয়েরি অঁরি। ছবি: এএফপি
হতাশ চেহারাই বলে দিচ্ছে ভালো নেই থিয়েরি অঁরি। ছবি: এএফপি
>থিয়েরি অঁরি কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয়ের দেখা পাননি। এমনকি কাল ঘরের মাঠেও ৪ গোল খেতে হয়েছে ক্লাব ব্রুগার কাছে

এই শতাব্দীর শুরুতে যারা ফুটবল মাঠে রাজত্ব করে বেড়াতেন তাদের মাঝে হাতে গোনা দুই-একজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে ফুটবল মাঠে। অনেকেই এখন ফুটবল বিশেষজ্ঞ হয়ে টিভি পর্দা সামলাচ্ছেন, অনেকেই মাঠের পাশে ডাগ-আউটে। জিনেদিন জিদানের মতো সফলতার দেখাও পেয়েছেন এঁদের অনেকে। অনেকে আবার ব্যর্থ হয়েছেন ফিল নেভিলের মতো। বিশ্বকাপজয়ী তারকা থিয়েরি অঁরির কপালে বোধ হয় আপাতত ব্যর্থতার খাতাই খোলা। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো জয়ের দেখা পাননি অঁরি।

লিগ ওয়ানে রেলিগেশনের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল মোনাকো। ১৮তম অবস্থানে থাকা দলের কোচ লিওনার্দো জার্ডিমকে বরখাস্ত করে মোনাকো বোর্ড। আর্সেন ওয়েঙ্গার ও রবার্তো মার্টিনেজের সহকারী হিসেবে দুই বছর থাকার অভিজ্ঞতা আছে, তার ওপর সাবেক খেলোয়াড়; থিয়েরি অঁরিকেই ভরসা মেনেছিল মোনাকো। এসব হিসেব নিকাশ মিলিয়েই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া তাঁকে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পাঁচ ম্যাচ দায়িত্বে থেকে একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পাননি অরি। দুই ড্রয়ের পাশাপাশি আছে তিন হার।

গতকাল বাঁচা মরার ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার মুখোমুখি হয়েছিল মোনাকো। অনেকেই ভেবেছিলেন অখ্যাত এই দলের বিপক্ষে জয়ের দেখা পাবেন অঁরি। কিন্তু সে সুযোগ দেয়নি ব্রুগা। বরং ২৪ মিনিটেই হ্যানস ভ্যানকেনের দুটি ও ওয়েসলি মোরায়েসের একটি মিলে মোট তিন গোল হজম করে বসে মোনাকো। ম্যাচের শেষদিকে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন রুড ভোমার। ঘরের মাটিতেই ৪-০ গোলের বিশাল হারের লজ্জা পেতে হয় মোনাকোকে। এর আগে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে চার গোল হজম করেনি মোনাকো। নতুন করে লজ্জার ইতিহাস লিখল মোনাকো, সেটাও আবার ঘরের ছেলের অধীনেই।

কোচ অঁরির দোষ দিয়েই-বা লাভ কী? নিজের দলের সেরা তারকারা যখন হাসপাতালের বেড গরম করছেন তখন এ রকম ফলাফল দেখার জন্য প্রস্তুত থাকাই ভালো। গতকাল চোটের কারণে মাঠ ছাড়া কামিল গ্লিককে নিয়ে এই মৌসুমে মোনাকোতে চোটে জর্জরিত খেলোয়াড়ের সংখ্যা হলো সাত। দলের মূল গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ, মূল দুই মিডফিল্ডার গোলোভিন, রনি লোপেজও এখন চোটে।