ফুটবলে অর্থের ছড়াছড়ি 'পছন্দ নয়' এমবাপ্পের

এই মৌসুমেই পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন এমবাপ্পে। ফাইল ছবি
এই মৌসুমেই পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন এমবাপ্পে। ফাইল ছবি
দুই দিন আগেই এমবাপ্পে তাঁর ক্লাব পিএসজির কাছ থেকে কী কী সুযোগ-সুবিধা চান, তার একটা গোপন নথি ফাঁস হয়েছে। দুই দিন পরেই পুরোদস্তুর ভালো ছেলে হয়ে এমবাপ্পে জানালেন, ফুটবলে অঢেল অর্থের এই ঝনঝনানি তাঁর বড্ড অপছন্দ


ফুটবল লিকসের গোপন নথিপত্র ফাঁসের তালিকা থেকে বাদ যাননি ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও। দুই দিন আগেই বিস্ফোরক এক প্রতিবেদনে ফাঁস হয়েছে কোনো কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন এই ফরাসি তারকা। কিন্তু সুইডেনের আরটিএস চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার দিতে বসে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সুবোধ হয়ে গেলেন তিনি। ফুটবল অঢেল অর্থের ঝনঝনানি নাকি একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর।

নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বলেই এই অর্থের ছড়াছড়ি তাঁর পছন্দ নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনোভাবেই এটি পরিবর্তন করতে পারবেন না, ‘আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাই ফুটবলে এই অতিরিক্ত অর্থের ছড়াছড়ির ব্যাপারটা আমার কাছে দৃষ্টিকটু বলে মনে হয়। আমি বিপ্লবী নই, তাই আমি চাইলেও ফুটবলের এই সংস্কৃতিটা বদলাতে পারব না, তাই নিজের অবস্থানে থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে আমাকে। ফুটবল দুনিয়াটাই এখন এ রকম হয়ে গেছে।’
মোনাকো থেকে গত মৌসুমেই ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকাকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদও। তখন জানা গিয়েছিল, রিয়ালও নাকি ১৮০ মিলিয়ান ইউরোতেই নিতে চায় তাঁকে। কিন্তু ফুটবল লিকস জানাচ্ছে, রিয়াল আসলে এমবাপ্পের জন্য আরও উদারহস্ত হতে চেয়েছিল, খরচ করতে চেয়েছিল ২১৪ মিলিয়ন ইউরো! এমবাপ্পে কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা নিয়েই পিএসজিতে থেকে যান। বেতন নিচ্ছেন ১০ মিলিয়ন ইউরো। রিয়ালে সেটি নাকি ৭ মিলিয়ন টপকাতো না। এমবাপ্পের দাবি ছিল, ব্যালন ডি’অর জিতলে তাঁকে নেইমারের সমান বেতন দিতে হবে। সে অঙ্কটা ৩০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু তাঁর সে প্রস্তাব অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। এ ছাড়া বছরে ব্যক্তিগত বিমানে ৫০ ঘণ্টা ওড়ার সুবিধা চেয়েছিলেন এমবাপ্পে। এ দাবিও মানেনি পিএসজি। তবে একজন বাটলার, একজন চালক ও নিরাপত্তারক্ষীর বেতন দিতে রাজি হয়েছে পিএসজি।
সেই এমবাপ্পের গলায় এখন ভিন্ন সুর!