বল করলে ফুসফুসে রক্ত ঝরে, তাই ছাড়লেন ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়ার পেসার জন হেস্টিংস। ছবি: টুইটার
অস্ট্রেলিয়ার পেসার জন হেস্টিংস। ছবি: টুইটার
>

বল করার সময় ফুসফুসে রক্ত ঝরায় সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়লেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জন হেস্টিংস

চোটের কারণে গত বছরই টেস্ট ও ওয়ানডে ছেড়েছিলেন জন হেস্টিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়াও একটা কারণ ছিল। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। কারণটা রহস্যময় এক রোগ—বোলিংয়ের সময় তাঁর ফুসফুস থেকে রক্ত ঝরে! চিকিৎসক বলেছেন, বোলিংয়ে সময় এরপর যে আর রক্ত ঝরবে না, সেই নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না। আর তাই ক্রিকেটই ছাড়লেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার।

বোলিংয়ের সময় ফুসফুসে রক্ত ঝরার ব্যাপারটি কয়েক বছর আগে টের পেয়েছিলেন হেস্টিংস। চিকিৎসা করাচ্ছিলেন নিয়মিতই। গত মাসে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরে সরে যান হেস্টিংস। কিন্তু এখন ব্যাপারটা ‘নির্দিষ্ট’ই হয়ে গেল, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১ টেস্ট, ২৯ ওয়ানডে আর ৯টি-টোয়েন্টি খেলা হেস্টিংস ক্রিকেটই আর খেলবেন না।

বিগব্যাশে মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে সাত মৌসুম খেলেছেন হেস্টিংস। আগামী মৌসুমের জন্য তিনি যোগ দিয়েছিলেন সিডনি সির্ক্সাসে। কিন্তু ‘দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা’র জন্য ‘অনেক অনিশ্চয়তা’ সৃষ্টি হওয়ায় সিডনি আর তাঁকে পাচ্ছে না। স্বাস্থ্য সমস্যা আর চিকিৎসা নিয়ে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে হেস্টিংস বলেছেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী এই স্বাস্থ্য সমস্যায় অনেক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এটা (রক্ত ঝরা) কোনো ক্ষতি করছে কি না, কিংবা মাঠে নামলে আবারও রক্ত ঝরার সম্ভাবনা আছে কি না, জানি না। তারা (চিকিৎসক) এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আমার জন্যও ব্যাপারটা সুখকর ছিল না।’

বল করার সময় ফুসফুসে রক্ত ঝরার ব্যাপারে হেস্টিংস জানিয়েছেন, ‘শুধু বল করার সময়ই এটা ঘটে। চাপে ফুসফুসের রক্তনালি ফেটে যায়। এতে কাশির সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসত। ব্যাপারটা ভীতিকর। বক্সিং কিংবা ভারোত্তলন করলেও কিছু হয় না। শুধু বল করার সময় ল্যান্ডিংয়ে (ক্রিজে পা ফেলার সময়) সমস্যাটা হচ্ছে।’ ক্রিকেট ছাড়ার পর হেস্টিংস এখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজেকে জড়াবেন বলে জানিয়েছেন।