প্রথম দিনটা পাকিস্তানের

জুনাইদের (বাঁয়ে) আরও একটি উইকেট। আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল সতীর্থদের এভাবে পাঁচবার উদ্যাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার  এএফপি
জুনাইদের (বাঁয়ে) আরও একটি উইকেট। আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল সতীর্থদের এভাবে পাঁচবার উদ্যাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার এএফপি

এক উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেল শ্রীলঙ্কা। ফিরে আসার পর আর ৫৮ রান যোগ করতেই হারাল পরের সাত উইকেট। এক ধাক্কায় স্কোর ৮ উইকেটে ১২৪! টুইটার-ফেসবুকে তো বটেই, টেলিভিশনের ভাষ্যকারও তখন রসিকতা করছেন, মধ্যাহ্নভোজে কী খেয়ে এভাবে বদলে গেলেন পাকিস্তানের বোলাররা!
কৃতিত্ব পাকিস্তানি বোলারদের অবশ্যই। তবে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার দায় কিছুটা নিতে হবে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদেরও। তাই আবুধাবি টেস্টের প্রথম দিন মাত্র ৬৫ ওভার স্থায়ী হলো শ্রীলঙ্কার ইনিংস, স্কোরবোর্ডে রান জমা সাকল্যে ২০৪। দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ৪৬ রান তোলায় সেই ব্যবধান নেমে এসেছে ১৫৮ রানে।
৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খান। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পর সেই ধসটা আসলে শুরু হয়েছিল টেস্ট অভিষেক হওয়া পেসার বিলাওয়াল ভাট্টির দুর্দান্ত এক স্পেলে। দলীয় ৬৭ রানে কৌশল সিলভাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরের ওভারেই ভাট্টি সাজঘরে পাঠিয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে আর দিনেশ চান্ডিমালকে।
অন্য প্রান্ত থেকে সঙ্গীদের এই আসা-যাওয়া দেখছিলেন সাঙ্গাকারা। ব্যাট হাতে তিনি তখনো অবিচল। কিন্তু কপাল মন্দ সাঙ্গাকারার, ৩২তম ওভারে জুনাইদকে কাভারে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন আহমেদ শেহজাদের হাতে, যেটি জুনাইদের দ্বিতীয় উইকেট। এরপর আরও তিনটি উইকেট পেয়েছেন দীর্ঘদেহী পাকিস্তানি পেসার। ওপাশ থেকে সঙ্গীহীন হয়ে যাওয়ার চিন্তায় রান তোলার দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে যখন ম্যাথুস, শেষ শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে ফেরত পাঠান সাঈদ আজমল। ম্যাথুসের ১২৭ বলে ৯১ রানের ইনিংসই আসলে ২শ ছাড়ানো স্কোর এনে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।
খুররম মনজুর আর আহমেদ শেহজাদ মিলে ভালো শুরু এনে দেন পাকিস্তানকে। দিনের একেবারে শেষ বলে মনজুর দুর্ভাগ্যজনক রানআউট। এটুকু বাদ দিলে প্রথম দিনটা পাকিস্তানেরই। তথ্যসূত্র: সনি সিক্স, ওয়েবসাইট।