সুপারি চোরাচালান করেছেন জয়াসুরিয়া?

কাঁচা সুপারি পাচারের অভিযোগ উঠেছে জয়াসুরিয়ার বিপক্ষে। ফাইল ছবি
কাঁচা সুপারি পাচারের অভিযোগ উঠেছে জয়াসুরিয়ার বিপক্ষে। ফাইল ছবি

সনাথ জয়াসুরিয়ার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দুর্নীতি বিরোধী তদন্তে তথ্য না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। সে ঘটনার সমাধান এখনো মেলেনি। এর মাঝেই নতুন অভিযোগ উঠেছে জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে। ভারতে কাঁচা সুপারি পাচারের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কানের বিরুদ্ধে! 

অবিশ্বাস্য ঠেকলেও একে উড়ো খবর বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দৈনিক ভাসকরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের রাজস্ব তদন্ত বিভাগের উপপরিচালক দিলীপ সিভার জানিয়েছেন বিপুল পরিমাণ সুপারি শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। এবং এই সুপারি ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলঙ্কায় আনা হয়েছিল। সিভারের দাবি এই বেআইনি কাজটি করার জন্য শ্রীলঙ্কায় কিছু ভুয়া প্রতিষ্ঠানও সৃষ্টি করা হয়েছিল। এবং সেটা করার জন্য ব্যক্তিগত ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন জয়াসুরিয়া।

ইন্দোনেশিয়া থেকে সুপারি আমদানি করা হলে বিপুল অঙ্কের আমদানি শুল্ক দিতে হয়। ১০৮ শতাংশ আমদানি শুল্কের হাত থেকে বাঁচার জন্য শ্রীলঙ্কা থেকে সুপারি আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সার্কের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধার অধীনে থাকায় শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করা সুপারিতে বেশি লাভ করা সম্ভব। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা সুপারির চার ভাগের এক ভাগ মূল্যেই তখন আমদানি খরচ মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা সুপারি শ্রীলঙ্কার মাধ্যমে ভারতে এনে সে দেশের পণ্যের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হতো।

ভারতের নাগপুর ধীরে ধীরে কাচা ও পচা সুপারি ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এর সুবিধাই নিচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিছুদিন আগে নাগপুরে একটি তল্লাশি চালানো হলে সেখানে ভুয়া কাগজপত্রের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানেই দেখা যায় আমদানি শুল্ক থেকে বাঁচার জন্য কীভাবে ভুয়া কাগজের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে সুপারি আনা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা তাদের তারকাখ্যাতি ব্যবহার করে সরকার থেকে এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য লাইসেন্স জোগাড় করে নিচ্ছেন।