সিরিজ বাঁচাতে কোহলিকেই লাগল ভারতের

দলের জয় নিশ্চিত হতেই কোহলির আবেগী উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি
দলের জয় নিশ্চিত হতেই কোহলির আবেগী উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। দুটি ম্যাচেই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা ভারতকে জয়বঞ্চিত করেছে বৃষ্টি। দ্বিতীয় ম্যাচটা ভেসে যাওয়ার আগে প্রথম ম্যাচে তো হেরেই বসেছিল সফরকারীরা। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে আর দেখা দিতে পারেনি বৃষ্টি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি দুর্দান্ত এক ইনিংসে দলকে সিরিজ হারের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ সমতায় শেষ করেছে ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় সিডনির গ্যালারিকে অনেক অনেক দূরের কিছু মনে হচ্ছিল। ভারতের বোলারদের যে কোনোভাবেই সীমানা ছাড়া করতে পারছিলেন না স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা। শেষ ৪ ওভারে ৪০ এর বেশি রানে স্কোরটা ১৬৪ ছুঁয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান এনে দেওয়ার পরও! নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা কোনো ছক্কা মারতে পারেননি। সাকল্যে চার মেরেছেন ২১টি। সবচেয়ে বিস্ময়কর, স্ট্রাইক রোটেট করার জন্য বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৪০ বলেই কোনো রান আসেনি! এর মাঝে প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যে ৩৬টি ছিল ডট বল! এমন এক ইনিংসের পর সিডনিতে রান তোলাকে খুব কঠিন কাজ বলেই মনে হচ্ছিল।

সে চিন্তাকে হেসেই উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় দুই ওপেনার। প্রথম ৫ ওভারেই এল ৬২ রান, পাওয়ার প্লেতে এসেছে ৬৭ রান। ৫ ওভারের মধ্যেই ৪টা ছক্কা মেরে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান বুঝিয়ে দিয়েছেন, ছক্কা মারার ক্ষমতা থাকলে উইকেট কিংবা সীমানা দড়ির দূরত্ব কখনোই বিবেচ্য নয়। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের অবদানও কম নয়। নাথান কোল্টার-নাইল ও মার্কাস স্টয়নিস যেভাবে বল করেছেন, তাতে বিশ্বের যেকোনো দলের ব্যাটসম্যানই ছড়ি ঘোরাবেন। প্রথম ৫ ওভারে ভারত ৬২ রান তুলেছে। এর মাঝে মিচেল স্টার্কের ২ ওভারে এসেছে ১১ রান। বাকি তিন ওভার থেকেই এসেছে ৫১ রান।

স্টার্কের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ষষ্ঠ ওভারে ফিরলেন ধাওয়ান (২২ বলে ৪১ রান)। দলকে ঠিক ৬৭ রানে রেখেই ৭ বল পর আউট রোহিত (২৩)। অ্যাডাম জাম্পার দারুণ এক স্লাইডারে বোল্ড হয়েছেন রোহিত। দারুণ বল করেছেন এই লেগ স্পিনার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও তাঁকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন। কিন্তু স্টার্ক ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য পেসারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ের পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ম্যাচটা ঠিকই বের করে এনেছেন কোহলি। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটির পর দিনেশ কার্তিককে নিয়ে গড়েছেন অপরাজিত ৬০ রানের জুটি। এর মাঝে অবশ্য এক বলের জন্য উইকেটে এসে ফিরে গেছেন ঋষভ পন্ত। ৪১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেছেন কোহলি।