জয় 'আউট', সালাম মুর্শেদী 'ইন', আমিনুল 'ওয়েটিং'

আরিফ খান জয় ও সালাম মুর্শেদী। ফাইল ছবি
আরিফ খান জয় ও সালাম মুর্শেদী। ফাইল ছবি
>নানা বিতর্কিত কাণ্ডের জেরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তবে মনোনয়ন পেয়েছেন আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার সালাম মুর্শেদী।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় মনোনয়ন পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার টিকিট পাননি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর আসন নেত্রকোনা-২ থেকে (সদর ও বারহাট্টা) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান। জয় বাদ পড়লেও সাবেক তারকা ফুটবলার সালাম মুর্শেদী পেয়েছেন আওয়ামী লীগের টিকিট। তবে জাতীয় ফুটবল দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি ঢাকা-১৪ ও ১৬ আসনের যেকোনো একটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

গতকাল আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর জয়কে নিয়েই চলছে আলোচনা। কারণ বর্তমান মন্ত্রিসভায় একমাত্র বাদ পড়া নাম এই জয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরপরই যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জয়। তাঁর মন্ত্রিত্ব পাওয়াটা ছিল রাজনীতিতে বড় এক চমক। কিন্তু পাঁচ বছর যেতে না যেতেই দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের আশীর্বাদ হারিয়ে ফেললেন তিনি।

জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত ছিল না। কলেজশিক্ষক নিয়োগ, পুলিশ বা পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরির বিনিময়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ, সরকারি অফিসের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, দখল ও মারপিটের নানা অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দলের মধ্যেই ছিল তাঁর বিরুদ্ধাচরণ। অন্যদিকে আরেক ফুটবলার, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদীর মনোনয়ন পাওয়াটা ছিল প্রায় নিশ্চিত। কিছুদিন আগেই খুলনা-৪ আসনের (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে এখনো পর্যন্ত এক লিগে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করা এই তারকা ফুটবলার।

এঁরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আরও দুই সাবেক ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল ও খুরশিদ আলম বাবুল। টুটুল মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে। এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সংগীতশিল্পী মমতাজ। টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন খুরশিদ বাবুল। তিনিও পাননি।