৭৬-এর বেশি এগোতে পারলেন না সাদমান

৭৬ রান করে আউট হয়েছেন সাদমান। ছবি: শামসুল হক
৭৬ রান করে আউট হয়েছেন সাদমান। ছবি: শামসুল হক
>অভিষেক সেঞ্চুরিটা হলো না সাদমানের।

৭৬ রান করে ফেলেছেন। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু এ সময়ই ভুলটা করে বসলেন সাদমান ইসলাম। দেবেন্দ্র বিশুর বলটি যতটা ঘুরবে ভেবেছিলেন, ততটা ঘোরেনি। ভুল লাইনে ব্যাট পেতেই বিপদে পড়লেন সাদমান। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে বলটা আঘাত করল প্যাডে। আবেদন হতেই আম্পায়ার আর দেরি করেননি। রিভিউ নেওয়ারও দরকার পড়েনি। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই ফিরেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান।

সাদমানের ৭৬ রানের ইনিংসটি ১৯৯ বলের—আদর্শ টেস্ট ইনিংস। বড় সংস্করণে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, এই অভিষিক্ত ক্রিকেটার সেটিই যেন আজ সতীর্থদের শিখিয়েছেন। কিন্তু আক্ষেপটা থেকেই গেল।

সাদমান ফেরার আগে অবশ্য ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন—খুব বাজেভাবে। বিশুর বল সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড—কেন? এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। ৬১ বলে ২৯ রান করেছিলেন তিনি। কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই ২৯ রান করতে পরিশ্রম নিশ্চয়ই হয়েছিল। কিন্তু মিঠুন নিজের পরিশ্রমের মূল্যটা বুঝতে দিলেন কোথায়। ড্রেসিং রুমে ফিরে নিজের আউটটির ভিডিও ফুটেজ যতবার দেখবেন আক্ষেপে মুখ ঢাকাতে বাধ্য হবেন তিনি। সাদমানের সঙ্গে তাঁর জুটিটা ছিল ৬৪ রানের। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৮৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এই দুইয়ের জুটি অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

মিঠুন-সাদমানের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। চা বিরতির আগে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে। বিরতির পর এই প্রতিবেদন লেখার সময় সংগ্রহটা দাঁড়িয়েছেন ৪ উইকেটে ১৮৮-তে। সাকিব ১৭ আর মুশফিক ১৩ রানে অপরাজিত।