দুপুরে নামলেন ঢাকায়, সন্ধ্যায় পেলেন জয়

আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও সিমাও। ছবি: প্রথম আলো
আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও সিমাও। ছবি: প্রথম আলো
>শীতলের জোড়া গোলে আবাহনী কোচ হিসেবে জয় দিয়ে শুরু করলেন পর্তুগিজ কোচ মারিও সিমাও

বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছে আবাহনী। এ কি সেই আবাহনী! আজ তাঁদের খেলার হতশ্রী চেহারা দেখে ৭৫ মিনিট পর্যন্তও প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। ভাগ্যিস বদলি হিসেবে নামানো হয়েছিল ফয়সাল আহমেদ শীতলকে। শীতের আগমনী সন্ধ্যায় শীতলের জোড়া গোলেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপে শুভ সূচনা আবাহনীর।

মাঠে নামার আগেই ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে বড় বদল। আকাশি-নীলদের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক পর্তুগিজ ট্রেনার মারিও সিমাও। আজ দুপুরেই তিনি ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে গেলেন আবাহনীর ডাগআউটে। ঢাকায় আসার আগে তাঁর অধীনে অবনমন হয়েছে মালয়েশিয়া সুপার লিগের ক্লাব নেগেরি সেমবিলানের।

শুরু থেকে বলের দখলে এগিয়ে ছিল ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সানডে চিজোবা বিহীন দলটির আক্রমণে সেই ধার দেখা যাচ্ছিল না। এর পরেও বেশ কয়েকবার এগিয়ে যাওয়ারও সুযোগ এসেছে। কিন্তু গোল মিস ও মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক ওমর ফারুক লিঙ্কন ‘দেয়াল’ হয়ে দাঁড়ানোয় সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই পরপর দুবার আবাহনীকে গোল বঞ্চিত করেন লিঙ্কন। দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার মিনহিয়েক কোর শট ঠেকিয়ে দিলে ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন হাইতিয়ান স্ট্রাইকার বেলফোর্ট। দুর্দান্ত ‘রিফ্লেক্স’ দেখিয়ে সে যাত্রায়ও দলকে রক্ষা করেছেন লিঙ্কন।

দ্বিতীয়ার্ধে জুয়েল রানার জায়গায় বদলি নেমে ৭৬ থেকে ৭৭—এই দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন শীতল। ডান প্রান্ত থেকে রুবেল মিয়ার ক্রসে প্লেসিং শটে খুলেছেন গোলের খাতা। গত মৌসুম থেকে আবাহনীর জার্সিতে খেলা শীতল আজই প্রথম গোল পেলেন। পরের মিনিটেই বেলফোর্টের ক্রসে হেডে গোল করে ব্যবধার ২-০ করেন তিনি।

কিন্তু ‘ক্লিন শিট’ রেখে মাঠ ছাড়া হয়নি আবাহনীর। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো। ডি-বক্সের মধ্যে জাপানের এই মিডফিল্ডার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।