রুবেল বললেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা'

রুবেল হোসেন: ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেস আক্রমণে অন্যতম ভরসা। ছবি: প্রথম আলো
রুবেল হোসেন: ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেস আক্রমণে অন্যতম ভরসা। ছবি: প্রথম আলো
>টেস্টে উপেক্ষিত থাকলেও ওয়ানডেতে পেসারদের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। ওয়ানডে একাদশে অন্তত তিন পেসার তো থাকবেই। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পেসারদের ওপর এত আস্থা, টেস্টে কেন নয়—পেসার রুবেল হোসেনকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো। উত্তর দিতে হলো, পেসার হিসেবে তিনি নিজেও কি টেস্ট খেলাটা কম উপভোগ করেন?

খুব ব্যস্ত সময় কাটছে কোর্টনি ওয়ালশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয় কিংবদন্তির একপ্রকার শুয়ে-বসেই কেটেছে! মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দলে কোনো পেসার খেলেননি, তাঁর কীই-বা করার আছে। তবে ওয়ানডে সিরিজের আগে বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ ওয়ালশের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। হোম কন্ডিশন ও উইকেট কাজে লাগাতে টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা উপেক্ষিত থাকলেও ওয়ানডেতে বিপরীত চিত্র। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে পেসারই আছেন চারজন। সঙ্গে খণ্ডকালীন দুজন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে পেসারদের অনেক আস্থা থাকলেও টেস্টে বিপরীত ছবি। এখন হোম কন্ডিশনে পেসাররা যেন দুয়ো রানির ছেলে! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে একজন পেসার না খেলাটা তো দুঃখজনকই বললেন রুবেল হোসেন, ‘পেস বোলারদের জন্য একটু দুঃখজনক। একটা পেস বোলার না নিয়ে আমরা টেস্ট খেলছি, আমাদের কন্ডিশন, উইকেট এমনই ছিল। আমাদের দেশের মাটিতে সফল হয়েছি। দলের পরিকল্পনা হয়তো ওভাবেই ছিল। আর পেস বোলারদের জন্য একটু তো খারাপ লাগেই।’

দেশের মাঠে টেস্টে শুধুই স্পিন-নির্ভরতার পেছনে পেসারদের দায়ও কম নয়। রুবেলকে নিয়েই যেমন অভিযোগ, টেস্ট খেলতে তাঁর ভীষণ অনীহা, বড় সংস্করণে খেলতে খুব একটা নিবেদিত নন। আজ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ পেসার অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কথা কারা বের করেছে জানি না। আমি টেস্ট খেলতে চাইব না কেন? এই ক্রিকেটই আমার রুটি-রুজি। এটা করেই আমাকে চলতে হয়। আমার পরিবার চলে। খেলার সঙ্গে তো প্রতারণা করার কিছু নেই। আমি জানি না এটা কারা ছড়িয়েছে, কখনই বলিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না।’

লম্বা স্পেলে বোলিং করতে চান না বলে টেস্টের প্রতি আগ্রহ কম, এ অভিযোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন রুবেল, ‘এ ধরনের কিছু না। আমি বিসিএলে বোলিং করছি না? ম্যাচ খেলছি। টেস্ট যদি উপভোগই না করতাম তাহলে এটা এড়িয়ে চলতাম। খেলার সঙ্গে কখনোই প্রতারণা করি না।’

ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একজন পেসার বলে হয়তো ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পেসারদের প্রতি একটু বেশি আস্থা রাখার প্রবণতা দেখা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে। অবশ্য অধিনায়ক পেসার হলেই যে তাঁর সতীর্থ বোলাররা সফল হবেন, সেটির কোনো নিশ্চয়তা নেই। টেস্ট উপেক্ষিত থাকলেও তবুও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পেসাররা কেন বেশি সফল, সেটির যুক্তি দিলেন রুবেল, ‘ওয়ানডেতে উইকেট স্পিন-সহায়ক থাকবে না, যেভাবে টেস্টে ছিল। আর আমাদের যে পেস বোলাররা আছে, এই কন্ডিশনে সব সময় ম্যাচ জেতাতে পারবে। আসলে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের বোলারদের মধ্যে সব সময় স্পিনাররাই রাজত্ব করে আসছে। পেস বোলাররা সেভাবে সাফল্য পাচ্ছে না। ওয়ানডে সম্পূর্ণ আলাদা একটা সংস্করণ। এক দিনের খেলা, যারা যেদিন যত ভুল কম করবে, তারা তত ভালো খেলবে।’