মাশরাফিতে উজ্জ্বল বাংলাদেশ

এক ফ্রেমে আজকের সেরা দুই বোলার। ছবি: প্রথম আলো
এক ফ্রেমে আজকের সেরা দুই বোলার। ছবি: প্রথম আলো
>
  • প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯৫ রান উইন্ডিজের
  • ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ ও মাশরাফি

জিম্বাবুয়ে সিরিজের ধারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও বজায় থাকল। শুরু থেকেই বোলাররা দাপুটে শুরু করে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে রানটা নাগালে রেখেছেন কিন্তু অলআউট করতে পারেননি। আজও বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা স্বস্তি নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। ধুঁকে ধুঁকে ৫০ ওভার পার করে তুলেছে ১৯৫ রান, হাতে ১ উইকেট রেখেই। এখন জিম্বাবুয়ে সিরিজের ধারা বজায় রাখার বাকি কাজটা ব্যাটসম্যানদের ওপর। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জেতার জন্য বাংলাদেশকে এখন ১৯৬ তুললেই চলবে। ওভারে ৪ রানও দরকার হবে না তামিম-সাকিবদের।

সিরিজের শুরুতেই পেসারদের ওপর আস্থার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টেস্ট সিরিজের বিপরীত অবস্থান নিয়ে তিন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছেন। কিন্তু টসে হেরে বল করতে নামার পর দেখা গেল আস্থাটা স্পিনারদের ওপরই বেশি। নতুন বলে দুই প্রান্তেই বল বুঝে নিলেন দুই স্পিনার। কাইরন পাওয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে সে আস্থার প্রতিদান দিলেন সাকিব। অন্য প্রান্তে রান আটকে রেখে চাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছেন অবশ্য মিরাজ।

তবে মূল ভরসা যে পেসাররাই, সেটা প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছেন মাশরাফি নিজেই। রানের জন্য যুঝতে থাকা ব্রাভোর কষ্ট কমিয়ে দিয়েছেন ২১তম ওভারে। মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত গতি পরিবর্তন ও তামিমের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডেতে উইকেটের দেখা পেলেন মাশরাফি। ৫১ বলে ১৯ রানের এক ইনিংস খেলে ফিরলেন জরুরি ভিত্তিতে দলে আসা ড্যারেন ব্রাভো। খানিক পরেই কাঁটা হয়ে ওঠা হোপকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি। গতি হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর আর কখনো ম্যাচে ফিরতে পারেনি। মাশরাফি-মোস্তাফিজ ও রুবেলের সঙ্গে সাকিব -মিরাজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তুলতে হাঁসফাঁস করেছে সফরকারীরা। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ ১০ ওভারে তাই ৬৬ রান তুললেও ২০০ পার করাতে পারেননি রোস্টন চেজ , কিমো পলরা। পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বিখ্যাত এক দলে শুধু পলই পেরেছেন এক শর বেশি স্ট্রাইক রেটে (২৮ বলে ৩৬ রান) ব্যাট করতে।

এমন বোলিং পারফরম্যান্সের পরও একটু হতাশা থাকার কথা দলের। তামিমের অসাধারণ এক ক্যাচের পাশাপাশি তিনটি ক্যাচ মিসের ঘটনাও যে ঘটেছে! ওই তিনটি ক্যাচ হাতে জমাতে পারলে হয়তো বহুদিন পর ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে অলআউট করার দৃশ্য দেখতে পারত বাংলাদেশ।