মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে জয়ের সুবাস

>ওয়েস্ট ইন্ডিজের গড়া ৯ উইকেটে ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
বোল্ড হয়ে ফিরছেন লিটন। ছবি: এএফপি
বোল্ড হয়ে ফিরছেন লিটন। ছবি: এএফপি

লক্ষ্যটা দুই শ-র নিচে। তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের শুরুটা ছিল ধীর-স্থির। প্রথম ৬ ওভারে এসেছে মাত্র ২১ রান। কোনো বাউন্ডারি নেই। পরের ওভারে কেমার রোচকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ফ্লিক করে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। না, আউট হয়নি। রোচ বোলিং ক্রিজে দাগ পেরিয়ে যাওয়ায় ‘নো বল’। কিন্তু লিটন ‘জীবন’ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৭ বলে ৪১ রানের ইনিংসটা তিনি আরও টানতে পারতেন। দলকে অন্তত পৌঁছে দিতে পারতেন জয়ের কাছাকাছি। কিন্তু লিটন ফিরেছেন অভ্যাস পাল্টাতে না পারার খেসারত গুণে।

জয়ের জন্য ১৯৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা তামিম ইকবাল ফিরেছেন লিটনেরও আগে, আসলে সবার আগে। অষ্টম ওভারে রোষ্টন চেজের স্পিন খুব ধীরে এসেছে তামিমের ব্যাটে। আর তামিম শট খেলেছেন একটু আগে। ফল যা হওয়ার তাই—তামিমের (১২) ব্যাটের কানায় লেগে বল দেবেন্দ্র বিশুর মুঠোবন্দী। পরের ওভারে ওশানে থমাসের গতির কাছে হার মেনে বোল্ড ইমরুল কায়েস। ওই ওভারের সবগুলো ডেলিভারিই গড়ে ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে করেছেন থমাস। ইমরুল এই গতির কাছে হার মেনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুর্দান্ত ফর্ম এই সিরিজে অনূদিত করতে পারেননি। নবম ওভারে ইমরুল যখন আউট হলেন বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪২।

এখান থেকে তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সম্ভাব্য মড়ক এড়ান মুশফিক-লিটন। ১৯তম ওভারে কেমো পলকে অযথাই ক্রস খেলতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। শটটি খেলার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। অনসাইডে খেলার প্রতি দুর্বলতা থেকে লিটন সম্ভবত লোভ সংবরণ করতে পারেননি। তবে চতুর্থ উইকেটে সাকিব-মুশফিকের বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলায় লিটনের আউট সেভাবে ম্যাচে প্রভাব ফেলেনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চতুর্থ উইকেটে ৩৬ বলে ৩৯* রানের জুটি গড়েছেন দুজন। বাংলাদেশ ২৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১২৬। মুশফিক ৩১ রানে অপরাজিত, অন্য প্রান্তে সাকিবের সংগ্রহ ২১*।