গ্রুপসেরা হয়েই নকআউটে নেইমারেরা

নেইমার-এমবাপ্পে দু জনই ছিলেন দুর্দান্ত। ছবি: এএফপি
নেইমার-এমবাপ্পে দু জনই ছিলেন দুর্দান্ত। ছবি: এএফপি
>চ্যাম্পিয়নস লিগে রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পিএসজির হয়ে একটি করে গোল করেন কাভানি, নেইমার, মার্কুনহো ও এমবাপ্পে। রেড স্টার বেলগ্রেডের একমাত্র গোলটি করেন গোবেলিচ।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘সি’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের অনেক জটিলতা। এর মধ্যেই গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কা নিয়ে মাঠে নামেন নেইমার-কাভানিরা। অথচ কি দুর্দান্ত জয় আর ফিরে আসার গল্পে নিশ্চিত করে শেষ ষোলো। শুধু তা-ই নয়, পিএসজি হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও! 

যে দলে এমবাপ্পে আছে সে দলের আর কি লাগে? কথাটি এখন বলাই যায়! ম্যাচের নবম মিনিটে বল নিয়ে যে গতিতে ছুটলেন...তাঁকে রোখার সাধ্য কার! প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকেই বল বাড়িয়ে দেন কাভানিকে। অনেকটা ফাঁকা জালে বল জড়াতে কোনো সমস্যাই হয়নি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের। রেড স্টারের মাঠে খেলাটা কঠিন ছিল। কিন্তু নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পেদের দেখে সেটা মোটেও মনে হয়নি। ভালো খেলা, জয়...এ ছাড়া তো তাঁদের আর কোনো পথও খোলা ছিল না। অন্ধকার গলির পরে আলোর দিশা পাওয়া পিএসজি গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় প্রথমার্ধেই। এবারও এমবাপ্পে। তবে এবার বল জালে জড়িয়ে পিএসজির পোস্টারবয় খ্যাত নেইমার মৌসুমে নিজের পাঁচ নম্বর গোলটি করেন। ৪০তম মিনিটে এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড আড়াআড়ি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
অনেক কথার পরেও চ্যাম্পিয়নস লিগে এই মৌসুমে পিএসজির সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন নেইমার। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে এখন পর্যন্ত ১১ গোল করেছেন করিয়েছেন ৫টি। যা পিএসজির হয়ে আর কেউ পারেননি।
পাল্টা আক্রমণে হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলে পিএসজির রক্ষণ। ৫৬তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল করেন রেড স্টারের গোবেলিচ। ৬২তম মিনিটে অবশ্য জবাবটা দিয়েই দিচ্ছিলেন ডি মারিয়া। কিন্তু রেড স্টারের গোলরক্ষকের দক্ষতায় রক্ষা পায় তারা। সেটা খুব বেশি সময় অবশ্য নয়। ৭৭তম মিনিটে ফের আঘাত করেন ডি মারিয়া। ডি মারিয়ার বাড়ানো বল থেকে গোল করেন মার্কুনহো।
এমবাপ্পে দুই গোল করিয়েছেন। ভাগ্যদেবী কি তাঁর কপালে একটি গোলও রাখেনি! রেখেছে, যোগ হওয়া সময়ে নেইমারের বাড়ানো বল থেকে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ফরাসি এই তরুণ।
রেড স্টার আগেই বাদ পড়েছে। ‘সি’ গ্রুপের জটিল সমীকরণে লিভারপুলেরই বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি। আজকের ম্যাচে পিএসজি বড় ব্যবধানে জিতেছে। আর নিজেদের মাঠে নাপোলির বিপক্ষে জিতেছে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট নিয়েও প্রতিপক্ষের জালে কম গোল করায় কপাল খুলে যায় ক্লপের শিষ্যদেরই।