এমসিজিতে কী জানে না অস্ট্রেলিয়াই!

>
মেলবোর্নে ঘাম ঝরাচ্ছেন কোহলি। ছবি: এএফপি
মেলবোর্নে ঘাম ঝরাচ্ছেন কোহলি। ছবি: এএফপি

১-১ সমতায় থেকে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বক্সিং ডে টেস্ট। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেট নিয়ে এবার বেশ কৌতূহল। এমসিজির উইকেটের আচরণ কেমন হবে, এ নিয়ে দ্বিধায় অস্ট্রেলিয়াই

মেলবোর্নের উইকেট পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের দিকেও একটু হাত বাড়ায়। কিন্তু এবার এমসিজি কেমন আচরণ করবে, তা আগে থেকে বলাটা কঠিন। গত বছর অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড ম্যাচে পাঁচ দিনে মাত্র ২৪ উইকেট পড়ার পর আইসিসির ‘নেতিবাচক’ রেটিং পেয়েছিল এমসিজির পিচ। তারপর কিউরেটর ম্যাট পেজ পিচ বানিয়েছেন নতুন করে। নতুন এই উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানরাই রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

সিরিজে ১–১–এ সমতা। তৃতীয় টেস্টে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক উইকেট কেমন হবে, বলতে পারছেন না। তবে পিটার সিডল রোমাঞ্চিত। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ছিলেন না। এবার দলে থাকলেও প্রথম দুই টেস্টে খেলা হয়নি, তবে মেলবোর্নের নতুন উইকেট নিয়ে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে তারা কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। মনে হয়েছে, এটা খুব ভালো উইকেট। আমি নিশ্চিত, এখানে ফল হবে।’

পেসবান্ধব উইকেটে ভারত এখন আর উদ্বিগ্ন থাকে না। কারণ তাদেরও পেস শক্তিসমৃদ্ধ। ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ শামি—ভারতের পেসারত্রয়ী প্রথম দুই টেস্টে ভালো করেছেন। অ্যাডিলেডে দুই ইনিংসে ১৪ উইকেট নিয়ে ভারতের ৩১ রানের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। পার্থে এই তিনজনের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসেবে যোগ দেন উমেশ যাদব। ভারত ম্যাচটি হারলেও চারজনে মিলে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।

মেলবোর্নে আগামী পরশু শুরু বক্সিং ডে টেস্টে ভারতের আসল সমস্যার নাম স্পিন বোলিং। পার্থে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স ছিল অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নের। আর ভারত কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনারই সেখানে খেলায়নি। প্রথম টেস্ট খেলেই চোটে পড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন এখনো পুরোপুরি ফিট নন। চোট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসা বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার তৃতীয় টেস্টেও খেলার সম্ভাবনার পাশে প্রশ্নচিহ্ন। অথচ মেলবোর্নের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবে শেষ দিকে স্পিনারদের সাহায্য করে। ফিট স্পিনার হিসেবে ভারতের ভরসা এখন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব।

ভারত ভুগছে ওপেনিং জুটি নিয়েও। প্রথম দুই টেস্টে লোকেশ রাহুল ও মুরালি বিজয়ের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিটি ৬৩ রানের। বাকি তিনটি জুটি ৩, ৬ ও ০! প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া চোটে দেশে ফিরে গেছেন তরুণ ওপেনার পৃথ্বী শ। তাঁর বিকল্প হিসেবে উড়ে এসেছেন কর্ণাটকের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তবে কোচ রবি শাস্ত্রী তাঁর অভিজ্ঞ দুই ওপেনার রাহুল ও বিজয়ের ওপরই আস্থা রাখছেন, ‘ওদের অভিজ্ঞতা আছে। কয়েক বছর ধরে ভালোও খেলছে। এখন প্রয়োজন নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখা।’

ভারত এবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু এত এত সমস্যার পরও কি তা সম্ভব? রবি শাস্ত্রীর বিশ্বাস এখনো অটুট, ‘এমন নয় যে প্রায়ই আমরা (বিদেশে) প্রথম টেস্ট জিতি। সিরিজে ১–১–এ সমতা। ছেলেরা জানে ওদের সামর্থ্য কী। আমাদের সম্ভাবনা কতটুকু, সেটাও সবাই জানে। ওরা তৈরি।’