বিশ্বকাপ তারকার বড়দিনের পরিকল্পনা শুনলে অবাক হবেন

>
ঢাকায় এসে রিকশায় স্ত্রীকে বসিয়ে পোজ দেবেন না কলিন্দ্রেস, তা কি হয়! ছবি: ফেসবুক
ঢাকায় এসে রিকশায় স্ত্রীকে বসিয়ে পোজ দেবেন না কলিন্দ্রেস, তা কি হয়! ছবি: ফেসবুক

কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এখন ঢাকা মাতাচ্ছেন। আগামী কাল বড় দিন কিন্তু ক্রিসমাসের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও এক বালক সমর্থককে ঘিরেই

ইংলিশ লিগ ছাড়া বেশির ভাগ লিগই এখন বন্ধ। পরিবার পরিজনের সঙ্গে মজা করে বড় দিনের ছুটি কাটান খেলোয়াড়েরা। বিশ্ব ফুটবলের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলকে মেলানো যায় না বলেই এই সময়টায় কোনো বিরতি নেই। আগামীকাল বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব বিদেশি ফুটবলাররা যে যার মতো করেই পালন করেন। তবে বাংলাদেশে আসা অন্য বিদেশিদের তুলনায় খেলায় যেমন ব্যতিক্রম, উৎসব উদ্‌যাপনেও নিজেকে ব্যতিক্রম প্রমাণ করছেন ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস।

বিজয়ের মাসে ঢাকায় এখন চলছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল। বুধবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাঠে নামবে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দুই দলে বিদেশি কোচ ও ফুটবলার নিয়ে সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। পরের দিন খেলা খেলা থাকলে ক্রিসমাস নিয়ে অত কিছু কি আর ভাবার সময় আছে খেলোয়াড়দের। সব উৎসব তো ওই ফাইনালের শিরোপা জয়ের পরের জন্য রাখা।

বাংলাদেশের ফুটবলে এখন বড় নাম কলিন্দ্রেস। কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এখন ঢাকা মাতাচ্ছেন। ফাইনাল ম্যাচ থাকায় আর দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। ঢাকায় সস্ত্রীক ক্রিসমাস পালন করবেন বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা। বিশ্বকাপের তারকা, নতুন এক দেশে এসে খুব ধুমধাম করে পালন করবেন ক্রিসমাস—এমনটাই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিনটি পালন উপলক্ষে প্রথম আলোকে তিনি যা জানিয়েছেন, তাতে একটু হলেও অবাক হতেই হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও এক বালক সমর্থককে ঘিরেই তাঁর ক্রিসমাস পরিকল্পনা।

কলিন্দ্রেস জানিয়েছেন, ‘আজ রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত ডিনার পার্টি আছে। আগামীকাল আছে অনুশীলন। দলীয় অনুশীলন শেষে স্ত্রীর সঙ্গে বাসায় সময় কাটাব। আমরা বিশ্বাস করি ক্রিসমাস ডের সবচেয়ে বড় উদ্‌যাপন হতে পারে কাছের মানুষদের পছন্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপহার দেওয়া। তাই ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের জন্য কিছু কেনা কেটা করেছি। যে আমাদের প্রতিদিন সাহায্য করে থাকে। গরিব এক বালক ছেলের জন্য কিছু উপহার কিনেছি। এই ছেলেটা বসুন্ধরার প্রতিটি ম্যাচেই মাঠে উপস্থিত থাকে। এ ছাড়া ঢাকায় থাকা বন্ধুর জন্য কিনেছি কিছু উপহার।’