২৬তম বিবাহবার্ষিকীতে 'কাকতালীয়' ২-৬!

টটেনহাম কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ছবি: টুইটার
টটেনহাম কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ছবি: টুইটার

মরিসিও পচেত্তিনো তাহলে মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন! ৪৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ মুখ ফুটে না জানালে ব্যাপারটা হয়তো কেউ সেভাবে টের পেত না। তিনি হয়তো বলতেনও না, যদি কাকতালীয় ঘটনাটা না ঘটত। ব্যাপারটা সত্যিই আশ্চর্য করে দেওয়ার মতো।

এভারটনের মাঠে পার্কে পরশু ২-৬ গোলের জয় পায় টটেনহাম হটস্পার্স। ম্যাচ শেষে ব্যাপারটা আর চেপে রাখতে পারেননি টটেনহাম কোচ পচেত্তিনো। আনন্দের আতিশয্যে তিনি এই জয় উৎসর্গ করেন নিজের জীবনসঙ্গীকে। বলতে পারেন, এ আর নতুন কী! সে তো অনেকেই উৎসর্গ করে থাকে। কিন্তু মজাটা লুকিয়ে পচেত্তিনোর কথায়, ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এ জয় আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করছি। ২৬ বছর আগে আমরা বিয়ে করেছিলাম। আজ রাতে তা উদ্‌যাপনের জন্য ব্যাপারটা (জয়ের ব্যবধান) দারুণ হলো।’

নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন। সেদিন ছিল পচেত্তিনোর বিবাহবার্ষিকীর ২৬ বছর পূর্তি। আর সেদিনই কিনা তিনি তুলে নিলেন ২-৬ ব্যবধানের জয়! স্কোরলাইনে দুটি সংখ্যার মাঝের দাগটি মুছে দিলে তা ২৬! স্বাগতিকদের স্কোর প্রথমে লেখার নিয়মটা মেনে। পচেত্তিনো আনন্দের আতিশয্যে তাই ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে পারেননি, ‘এটি (ম্যাচের ফল) আমার জন্য জোড়া আনন্দের উপলক্ষ। আজ আমার বিবাহবার্ষিকী। ২৬ বছর আগে এই দিনে বিয়ে করেছিলাম, আর আজ এভারটনের বিপক্ষে ২-৬ ব্যবধানে জিতলাম। আমার স্ত্রীর জন্য এটাই উপহার।’

পচেত্তিনো জানান, বিবাহবার্ষিকীতে জীবনসঙ্গীকে উপহার দেওয়ার বিষয়টি তাঁর মাথায় ঘুর ঘুর করছিল। ম্যাচ চলাকালেও এ নিয়ে ভাবনায় ছিলেন। পচেত্তিনো তাই মহাখুশি, ‘আমি ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাস করি। তাই আজকের দিনটা অবিশ্বাস্য। ভাবছিলাম, স্ত্রীকে কী উপহার দেওয়া যায়। ২-৬ ব্যবধানের ফলটাই স্ত্রীর জন্য আমার উপহার। ব্যাপারটা কাকতালীয়, তবে কখনো কখনো তা এতটা কাকতালীয়ও নয়।’

সংবাদমাধ্যম পচেত্তিনোকে জিজ্ঞেস করেছিল, শুধু এই জয়টাই উপহার হিসেবে নিয়ে বাসায় ফিরবেন? জীবনসঙ্গীর জন্য অন্য কিছু নেবেন না? এই প্রশ্নের জবাবে পচেত্তিনো বুঝিয়ে দেন, তিনি বেশ ‘রোমান্টিক’ মানুষ, ‘বাসায় ফিরতে দেরি হবে। আমার ভালোবাসাই যথেষ্ট।’