নেইমারকে পেতে প্রার্থনা করছেন যিনি

নেইমারকে ক্লাবেও সতীর্থ হিসেবে চান আর্তুরো। ফাইল ছবি
নেইমারকে ক্লাবেও সতীর্থ হিসেবে চান আর্তুরো। ফাইল ছবি

নেইমার স্পেন ছেড়েছেন দেড় বছর হয়ে গেছে। কিন্তু স্পেন তাঁকে ছাড়তে পারেনি, আরও ভালোভাবে বললে স্প্যানিশ মিডিয়া। একদিন রিয়াল মাদ্রিদে তাঁকে ফেরানো হচ্ছে তো পরের দিন আবার বার্সেলোনায়। কখনো পেরেজের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা শোনানো হচ্ছে, আবার কখনো বার্সেলোনার সঙ্গে নেইমারের মনোমালিন্য ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ২০১৭ দলবদলের কথা ভুলে বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা যে নেইমারকে পেতে আগ্রহী এটা সবাই জানে। এ জানা কথাটাই আবার জানালেন আর্তুরো, বার্সেলোনার নতুন ব্রাজিলিয়ান রিক্রুট।

২২২ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমারের বার্সেলোনা ছাড়ার পর সে শূন্যস্থান পূরণে অনেক চেষ্টাই চালিয়েছে ক্লাব। প্রথমেই ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে ওউসমানে ডেমবেলেকে টেনে এনেছে তারা। এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে ১৪৭ মিলিয়ন ইউরোতে এনেছে নেইমারের বন্ধু ফিলিপে কুতিনহোকে। এতেই সন্তুষ্ট হয়নি ক্লাব। এবারের দলবদলে এসেছেন আরও দুই ব্রাজিলিয়ান, ম্যালকম ও আর্তুরো। এর মাঝে শুধু আর্তুরোই নেইমারের শূন্যস্থানের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে না হয়েছে জাভি-ইনিয়েস্তার শূন্যস্থান পূরণের জন্য। সে কাজে এখনো পর্যন্ত সফল আর্তুরো।

কিন্তু নেইমারের শূন্যস্থান এখনো পূরণ হয়নি। কখনো কুতিনহো, কখনো বা ডেমবেলে জ্বলে ওঠেন বটে কিন্তু নেইমারের মতো ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি কেউই। তাই তো নেইমারের দলবদলের গুঞ্জন শুনেই খুশি হয়ে উঠছেন আর্তুরো, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রার্থনা করছি যেন সে আসে। কারণ সে হলো একজন মহাতারকা, তাকে আপনি অবজ্ঞা করতেই পারবেন না। আর একটা দলে সেরা খেলোয়াড় যত বেশি থাকে তত ভালো।’

নেইমারের দলবদলের গুঞ্জন শুরু হতেই জানা গিয়েছিল ২০১৯ সালে তাঁর জন্য ২২০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ দিয়ে রেখেছে পিএসজি। সে খবর জানিয়ে রিয়ালের সঙ্গে দলবদলের গুঞ্জন বাড়ানো হয়েছিল। নতুন আরেকটি গুঞ্জনে অবশ্য বার্সেলোনাকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। ২০২০ নাগাদ নাকি রিলিজ ক্লজটা ১৬০ মিলিয়নে নেমে আসবে। তত দিনে লিওনেল মেসিও হয়তো অবিশ্বাস্য ফর্ম কিছুটা হারিয়ে ফেলবেন। দলের প্রাণভোমরা হতে চাওয়া নেইমার তখন সহজেই বার্সেলোনার মূল খেলোয়াড় বনে যাবেন।

আর্তুরোর অবশ্য এত দিন অপেক্ষা সইবে না। এই মিডফিল্ডার চাইছে যত দ্রুত সম্ভব নেইমার ফিরে আসুক বার্সায়, ‘আমি অনেক চেষ্টা করছি তাঁকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু ওর নিজের জীবন আলাদা, সে জানে সে কী করছে এবং আমি জানি না দলবদলের দর-কষাকষি আসলে কোন পর্যায়ে, আসলেই সে আসতে পারবে কি না। তবে সে আমার বন্ধু এবং এমন এক পেশাদার ব্যক্তি যাকে আমি অনুসরণ করি, তাই সে এলে খুবই খুশি হব।’