মেসির চাই ফুটফুটে একটি মেয়ে

পরিবার নিয়ে বড়দিনটা ভালোই উপভোগ করেছেন মেসি। ছবি: টুইটার
পরিবার নিয়ে বড়দিনটা ভালোই উপভোগ করেছেন মেসি। ছবি: টুইটার

বড়দিনের ছুটি শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে। পরিবার নিয়ে এই সময়টা বরাবরই নিজেদের মতো করে উপভোগ করেন ফুটবলাররা। লিওনেল মেসি যেমন চলে গেছেন জন্মভূমি রোজারিওতে। সঙ্গে জীবনসঙ্গী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো আর তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও ও চিরো। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বড়দিনের ছুটি পেয়েছেন মেসি। ছুটির এই সময়টা তিনি ভালোই উপভোগ করবেন। লা লিগা টেবিলের শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা। মেসি নিজেও রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ছুটির আমেজে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মন খুলে কথা বলার এই তো সময়। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার এই তারকাও খোলা মনে অনেক কথাই বলেছেন। যেমন ধরুন, তিন ছেলের পর এখন একটি ফুটফুটে মেয়ে চাই মেসির।

মেসি-রোকুজ্জো দম্পতির কোলজুড়ে বড় সন্তান থিয়াগো এসেছে ২০১২ সালে। তিন বছর পর জন্ম নেয় মাতেও এবং এর তিন বছর পর তাঁদের ঘর আলো করে এল তৃতীয় ছেলে চিরো। গত বছর বিয়ের বন্ধনে জড়ানো এই দম্পতি যে মনে মনে কন্যা সন্তান কামনা করেন, তা মেসি নিজেই মুখ ফুটে বললেন। ‘চিরো তো কেবল হাঁটা শিখল। আনতোনেল্লা (রোকুজ্জো) ও আমি একটি মেয়ে চাই। সে জন্য সময় আছে, দেখা যাক কি হয়।’

ফুটবলই মেসির জীবন। কথাটা এক সময় সত্য হলেও একটা সময়ের পর থেকে তা আর নেই। মেসির জীবনে ফুটবলের জায়গা দখল করেছে পরিবার। সন্তানদের মুখ দেখার পর থেকেই অগ্রাধিকারের জায়গাটি পাল্টে ফেলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। তবে ফুটবল এখনো মেসির ভালোবাসার জায়গা—সে কথাও জানিয়ে দিলেন বার্সা তারকা, ‘সন্তানদের মুখ দেখার পর থেকে পরিবারই আমার অগ্রাধিকার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবল অবশ্যই ভালোবাসি তবে পরিবার সবার ওপরে।’

সন্তানদের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে অনেক কথাই হয় মেসির। যদিও একটা সময় ছিল যখন বার্সেলোনা হারলে ঘরে ফুটবল নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতেন না মেসি। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। ৬ বছরের থিয়াগো তাঁর বাবাকে বার্সার হারে শোক পালনের ফুরসতটুকু দেয় না। ফুটবল নিয়ে ভীষণ আগ্রহী বড় ছেলে নানা রকম প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় মেসিকে—বার্সা হারলে এক সময় ঘরে ফুটবল নিয়ে কথা হতো না কিন্তু ‘সেটি বেশ আগের কথা। এখন আর তেমন হয় না। হার মেনে নেওয়া সব সময় কষ্টকর। থিয়াগো আমাকে কথা বলতে বাধ্য করে। হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে বলে। আমরা ফুটবল নিয়ে অনেক কথা বলি। বয়সে একটু বড় হওয়ায় থিয়াগো বাকিদের চেয়ে খেলাটা একটু ভালো বোঝে। ফুটবলের প্রায় সবকিছু নিয়েই সে আমার সঙ্গে কথা বলে।’