মেসিকে ছোঁয়ার শেষ সুযোগ পাচ্ছেন রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি
>ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে আজ বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর সামনে থাকছে লিওনেল মেসিকে ছোঁয়ার চ্যালেঞ্জ

বছরের শেষ ম্যাচ আগেই খেলে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। এখন বড়দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন আর্জেন্টিনায়। স্পেনে ফিরতে ফিরতে বছর পেরিয়ে যাবে। তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও ছুটিতে ছিলেন। তবে মেসির মতো এত দিন ছুটি পাননি। ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে আজই বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন জুভেন্টাস তারকা। সামনে থাকবে মেসিকে ছুঁয়ে ফেলার চ্যালেঞ্জ।

ফুটবলারের জন্য দলকে জেতানোর চ্যালেঞ্জটা সব সময়ই থাকে। সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে রোনালদোর জন্য এই চ্যালেঞ্জ তো থাকছেই। সঙ্গে থাকছে দুটি ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ জয়েরও হাতছানি। তিন গোল করলেই অষ্টমবারের মতো এই পঞ্জিকাবর্ষে ন্যূনতম ৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁবেন রোনালদো। এখন পর্যন্ত ৫২ ম্যাচে পর্তুগিজ তারকার গোলসংখ্যা ৪৭। মাইলফলকটি ছুঁতে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করতে পারবেন রোনালদো?

জুভেন্টাস তারকা খুব সম্ভবত হ্যাটট্রিক নয়, চার গোল করতে চান। ভ্রুকুটির কিছু নেই। সেটি অবশ্যই মেসির জন্য। না, মেসিকে কোনো নৈবেদ্য দিতে নয়, বরং তাঁকে ছুঁতেই চার গোল করতে চাইবেন রোনালদো। এ বছর ৫৪ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা ৫১। বছরের শেষ ম্যাচে রোনালদোর এই তিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই মেসিকে ছোঁয়ার চ্যালেঞ্জটি রোনালদোর জন্য সবচেয়ে কঠিন। তবে সেরা ফুটবলারদের একজন বলেই রোনালদোর ব্যাপারে কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলা যায় না। রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে এক ম্যাচে চার গোলের নজির তিনি গড়েছেন। যদিও ইতালিয়ান ক্লাব ফুটবলের রক্ষণ আর স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলের রক্ষণের মধ্যে ফারাক অনেক।

২০১০ থেকে ২০১৮—এ সময়ের মধ্যে আটবার এক পঞ্জিকাবর্ষে ন্যূনতম ৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে অল্পের জন্য পারেননি। সেবার ৪৭ ম্যাচে ৪৫ গোল করে বছর শেষ করেছিলেন বার্সা তারকা। এদিকে রোনালদো ২০১১ থেকে প্রতি বর্ষপঞ্জিতেই ন্যূনতম ৫০টি করে গোল করেছেন। এর মধ্যে মেসি যে বছর পারেননি—২০১৩ সালে রোনালদোর গোলসংখ্যা ছিল ৬৯!

এ বছর রিয়াল ছাড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে ২৮ গোল করেছেন রোনালদো। দেশ পর্তুগালের হয়ে করেছেন ৬ গোল আর ১৩ গোল করেছেন জুভেন্টাসের জার্সিতে। ‘ওল্ড লেডি’দের কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি আজ রোনালদোকে প্রথম একাদশের হয়ে মাঠে নামালে চ্যালেঞ্জগুলো জয়ের ভালো সুযোগ পাবেন। বিশ্রাম দিলে কিংবা বদলি হিসেবে মাঠে নামালে অবশ্য ভিন্ন কথা। লিগে আটলান্টার বিপক্ষে জুভেন্টাসের সর্বশেষ ম্যাচে রোনালদোকে বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন অ্যালেগ্রি। তাই আগে থেকে কিছুই বলা যায় না।