যে চার দেশে জয়ে পূর্বসূরিদের ছাপিয়ে গেলেন কোহলি

কোহলি ও ঋষভ পন্ত—কীর্তি গড়েছেন দুজনেই। ছবি: এএফপি
কোহলি ও ঋষভ পন্ত—কীর্তি গড়েছেন দুজনেই। ছবি: এএফপি
>মেলবোর্ন টেস্ট জয়ের পথে নিজেদের রেকর্ডে বেশ কিছু সংখ্যায় ওলট পালট এনেছে বিরাট কোহলির দল

বিরাট কোহলি কি পারবেন সিডনিতে সৌরভ গাঙ্গুলিকে টপকে যেতে?

মেলবোর্ন টেস্টে বিরাট কোহলিরা জেতার পর ভারতীয় সমর্থকদের চোখ এখন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বৃহস্পতিবার এ মাঠেই সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত। এই টেস্ট জিতলে পরিসংখ্যানের একটি পাতায় কোহলির পেছনে পড়বেন সৌরভ। মেলবোর্ন জিতে আপাতত পূর্বসূরির পাশে বসেছেন কোহলি।

২০১৪ সালে ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্বভার পান কোহলি। প্রতিপক্ষের মাঠে এ পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। মেলবোর্নে তুলে নেওয়া জয়টা অধিনায়ক হিসেবে প্রতিপক্ষের মাটিতে তাঁর ১১তম জয়। আর এতেই উঠে এসেছে সৌরভ প্রসঙ্গ। ২০০০ থেকে ২০০৫—এই সময়ে ভারতের নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে সৌরভও ১১ টেস্ট জিতেছিলেন। ভারতের অধিনায়ক হয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের রেকর্ডটি এত দিন সৌরভের একার দখলে ছিল। মেলবোর্নে জিতে পূর্বসূরির সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন কোহলি। তবে এই ১১ টেস্ট জিততে সৌরভের (২৮ ম্যাচ) চেয়ে কম ম্যাচ (২৪ ম্যাচ) লাগল কোহলির।

ভারতের এ দুই অধিনায়কই প্রতিপক্ষের মাঠে ন্যূনতম ১০টি টেস্ট জিতেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো কিংবদন্তিও এ তালিকায় দুজনের পেছনে। তবে কোহলি একটি জায়গায় টেক্কা দিয়েছেন তাঁর বাকি সব পূর্বসূরিকে। ‘সেনা’-ক্যাটাগরিভুক্ত দেশগুলোতে জয়ের হিসেবে। ইংরেজিতে শব্দটি SENA—যা চারটি দেশের নাম, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই চার দেশে ১৩টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৪ জয় তুলে নিয়েছেন কোহলি। মহেন্দ্র সিং ধোনি ২৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩ জয় তুলে নিয়ে দ্বিতীয়। কোহলির মতো আর কোনো ভারতীয় অধিনায়কই ‘সেনা’ভুক্ত দেশগুলোতে এত জয়ের মুখ দেখেননি।

চলতি টেস্ট সিরিজে এখনো এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্ত। মেলবোর্নে কাল চতুর্থ দিনে রবীন্দ্র জাদেজার বলে দুটি ক্যাচ ফেললেও উইকেটের পেছনে গোটা সিরিজেই দুর্দান্ত কিপিং করছেন ঋষভ। এর ফসল হিসেবে গ্লাভসে জমা করেছেন ২০টি ক্যাচ। টেস্ট সিরিজে ভারতের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড। ঋষভ এই পথে টপকে গেলেন ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নরেন তামহানের গড়া ১৯ ডিসমিসালের রেকর্ডকে। সেই সিরিজে ১২টি ক্যাচ আর ৭টি স্টাম্পিং করেছিলেন তামহানে। ঋষভ তাঁকে টপকেছেন শুধু ক্যাচ নিয়েই! অর্থাৎ তাঁর কুড়িটি ডিসমিসালই ক্যাচ।

১৯৮০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও ১৯টি ডিসমিসাল করেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। সেই সিরিজে কিরমানি ১৭টি ক্যাচ নিয়েছিলেন আর স্টাম্পিং ছিল ২টি। অর্থাৎ ভারতের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে কোনো সিরিজে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডও এখন পন্তের। সমান ১৭টি ক্যাচ নিয়ে পন্তের পরই কিরমানি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। চার বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ধোনির ১৭টি ডিসমিসালের সবগুলোই ছিল ক্যাচ। পন্ত এ দুজনের চেয়ে আরও একটি জায়গায় এগিয়ে। কিরমানি ১৭টি ক্যাচ নিয়েছিলেন ৬ টেস্টের সিরিজে, ধোনি ৫ টেস্টের সিরিজে আর পন্ত ৪ টেস্টের সিরিজে—যেখানে এখনো একটি ম্যাচ বাকি।