আফগানিস্তান সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ডে, বাংলাদেশ নয়

বাংলাদেশকে এবারও খেলতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্ব। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশকে এবারও খেলতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্ব। ছবি: প্রথম আলো
>সুপার টেন নয়, ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবে ‘সুপার ১২’, আরেক অর্থে দ্বিতীয় রাউন্ড। এই সেরা ১২ পর্বেও সরাসরি খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। সরাসরি সুপার ১২ খেলতে হলে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে থাকতে হতো সেরা আটে।

দেশের মাঠে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি ‘সুপার টেন’ বা সেরা দশে খেলতে পারেনি। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ সরাসরি সেরা দশে খেলতে পারেনি। দুটিতেই বাংলাদেশকে সুপার টেনে পা রাখতে হয়েছে প্রাথমিক পর্বের বৈতরণি পেরিয়ে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে এগোতে হবে একই পথ অনুসরণ করে। এবার অবশ্য সুপার টেন নয়, থাকছে ‘সুপার ১২’। বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না। অথচ আফগানিস্তানের আশ্চর্য উত্থান, তারা টুর্নামেন্ট শুরুই করবে এ পর্ব থেকে।

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে হলে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে থাকতে হতো সেরা আটে। বাংলাদেশ আছে ১০-এ। নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ১২ খেলতে হলে বাংলাদেশকে এখন প্রাথমিক পর্বটা পেরিয়ে আসতে হবে, যেটা তাদের পেরোতে হয়েছিল ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও । অথচ যে আফগানিস্তান ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব পেরোতে পারেনি, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেন খেলছে প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে, তারাই সরাসরি ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২ খেলবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানদের অবস্থান যে আটে।

বাংলাদেশের সান্ত্বনা, তিনবারের ফাইনালিস্ট ও ২০১৪ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকেও খেলতে হচ্ছে প্রাথমিক পর্বে। র‍্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকা শ্রীলঙ্কানরা সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না। সরাসরি সুপার ১২ খেলবে পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। বাকি চারটি দল আসবে প্রাথমিক পর্ব থেকে। এই পর্বে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অংশ নেবে আরও ছয়টি দল।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থেকে যেখানে অনায়াসে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়, টি-টোয়েন্টিতে কেন যেন সেটা দেখা যায় না। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ খেলেছে ১৬ টি-টোয়েন্টি, এক বছরে এর চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড নেই দলটির। তারা জিতেছে মাত্র ৫টিতে, হেরেছে ১১টিতেই। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা বাদে হেরেছে প্রতিটি সিরিজ-টুর্নামেন্টেই। এর মধ্যে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও।

সরাসরি সুপার ১২ খেলা নিয়ে অবশ্য সাকিব আল হাসান যথেষ্ট আশাবাদী, ‘সুপার ১২ সরাসরি খেলতে পারছি না ঠিক আছে, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারব। নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। টুর্নামেন্ট অনেক দূর না যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। এখনো সময় আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে এটা আমরা কাজে লাগাব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি (গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই), সেটি খুব বেশি দিন আগের নয়। ওই পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সামর্থ্যের ব্যাপারে অনেক আত্মবিশ্বাসী করেছে।’