সালমান বাটের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছেন আফ্রিদি!

আফ্রিদির জন্যই জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি সালমান বাট? ফাইল ছবি
আফ্রিদির জন্যই জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি সালমান বাট? ফাইল ছবি
>

স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন সালমান বাট। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেছেন, পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু আফ্রিদিই নাকি তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

কফিন ঢুকে পড়েছিলেন তিনি নিজেই। আর সালমান বাটের দাবি সত্যি হলে সেই কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার কাজ করেছেন শহীদ আফ্রিদি। স্পট ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন বাট। সঙ্গে মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। কারাভোগও করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পূরণ করে তিনজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন। আমির তো পাকিস্তান দলেই নতুন করে জায়গা করে নিয়েছেন। বাট আর আসিফেরও সে সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বাটের দাবি, শহীদ আফ্রিদির জন্যই ২০১৬ সালে সুযোগ আসার পরও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তাঁর।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাটকে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তখনকার অধিনায়ক আফ্রিদি বেঁকে বসেছিলেন। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিটিভিকে বাট সে ঘটনাই বলেন, ‘২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় একদিন কোচ ওয়াকার ইউনিস ফোন করে আমাকে লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) যেতে বলেন। সেখানে ওয়াকার ও ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার আমার ফিটনেস সম্পর্কে খোঁজ নেন। নেটে ব্যাটিংও দেখেন। আমি জাতীয় দলে ঢোকার মুখেই ছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক আফ্রিদির আপত্তির মুখে আমি সুযোগ পাইনি।’

ওয়াকার ইউনিস তাঁকে আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাট, ‘ওয়াকার ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, নতুন করে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে খেলার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না।’ বাট তো এক পায়েই খাড়া ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি।

আফ্রিদি যে তাঁর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটি বাট জেনেছিলেন ওয়াকারের কাছ থেকেই, ‘ব্যাপারটা আমি ওয়াকার ভাইয়ের কাছ থেকেই জানি। তিনি বলেন, আফ্রিদি আমাকে দলে নিতে চায় না। কিন্তু আমি এ নিয়ে আফ্রিদিকে কিছুই জিজ্ঞেস করিনি। আমি মনে করেছি, ব্যাপারটা ঠিক হবে না। আমি এটাও জানি না, আফ্রিদির সমস্যাটা কোথায় ছিল। কে বা কারা তাঁকে আমার দলভুক্তির বিষয়ে তাঁর মধ্যে নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দিয়েছিল।’

জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে বেশ হতাশ বাট। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না, কী করলে তিনি নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন, ‘আমি জানি না আর কী করলে জাতীয় দলে সুযোগ পাব। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি রান করে যাচ্ছি। বোর্ডের ঠিক করে দেওয়া পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমি মনে করি, পুরো ব্যাপারটা আমাদের ব্যাখ্যা না করা খুব বড় অবিচার।’

৩৫-এ পা দিয়ে ফেলা বাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা আর তেমন নেই। ২০১৬ সালে সুযোগটা পেলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতেও পারত।