ওয়ার্নারের অভিষেক ম্যাচে সিলেট ১২৭

>
সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট পতনের আনন্দ ভাগ করছেন স্মিথ। ছবি: প্রথম আলো
সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট পতনের আনন্দ ভাগ করছেন স্মিথ। ছবি: প্রথম আলো

বিপিএলে আজ প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছে সিলেট সিক্সার্স

বিপিএলে ডেভিড ওয়ার্নারের অভিষেকটা মোটেও ভালো হলো না। রান আউট কে? তৌহিদ হৃদয় না ওয়ার্নার—এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল দুজন একই প্রান্তে হলেও ওয়ার্নার আগে ব্যাট প্লেস করেছেন দাগে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করলেন ওয়ার্নারকে! ১৩ বলে ১৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার যখন আউট হলেন সিলেট সির্ক্সাসের স্কোর তখন ৪.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৩। এখান থেকে সিলেট শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আর সিলেটের মধ্যকার এই ম্যাচটা বেশ আগে থেকেই দুই অস্ট্রেলিয়ানের লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছিল। স্টিভ স্মিথ ও ওয়ার্নার—স্পট ফিক্সিং নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে দুজন ছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রাণভোমরা। কুমিল্লার অধিনায়ক হিসেবে স্মিথ আর সিলেটের অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নার টসে নামার সময় নিশ্চয়ই বিপিএল ভক্তদের চোখ জুড়িয়ে গেছে? এবার বিপিএলে তারকাদের মাঝে দুজন যে অন্যতম সেরা। আর এই দুই সেরার দ্বৈরথের প্রথমপর্বে এগিয়ে রইলেন স্মিথ—সেটি কুশলী নেতৃত্বে সিলেটের সংগ্রহকে সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য।

বেশ ফর্মে থাকা লিটন দাসকে নিয়ে সিলেটের ইনিংস ওপেন করেছেন ওয়ার্নার। দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসানকে অযথাই স্লগ সুইপ করার খেসারত গুণে ক্যাচ দিয়ে হতাশ করেছেন লিটন। চতুর্থ ওভারে এই স্পিনারকেই তিনটি চার মেরে আড়মোড়া ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু পরের ওভারেই তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে সেই রান আউট। তাতে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে সিলেটের রানের চাকা আর সেভাবে ঘোরেনি—২ উইকেটে ৩০।

২৩ রানে ২ উইকেট হারানো সিলেট ১১.৩ ওভারের মধ্যে ৫৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে মিডলঅর্ডারের চরম ব্যর্থতায়। দুই তরুণ তৌহিদ (৮) ও আফিফ হোসেন (১৯) উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আফিফকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ফেরানোর পর ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে তৌহিদকে তুলে নেন শহীদ আফ্রিদি। ১০ বলের ব্যবধানে দলীয় ৪৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। সাব্বির রহমান (৭) এসে মাত্র ৫ বল খেলে এই বিপদকে আরও ঘনীভূত করেছেন। মেহেদীর বলে উইকেটরক্ষক এনামুল হককে ক্যাচ দেন সাব্বির।

সাব্বিরকে হারানোর পর ১২তম ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৫৯। এখান থেকে দলের হাল ধরেছেন ছয় ও সাতে দুই ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান ও অলক কাপালি। ৩৫ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান পুরান ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ২৬ বলে ৪১ রান করার পথে ২ ছক্কা ও ৫টি চার মারেন তিনি। মোহাম্মদ শহীদের করা ১৮তম ওভারে প্রথম দুই বলে এক ছক্কা ও চারে ১০ রান নেওয়ার পর তৃতীয় বলটি তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন পুরান।

কাপালি (১৯) শেষ করে আসতে পারতেন। কিন্তু ১৯তম ওভারের শেষ বলে সাইফউদ্দিনকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে। শেষ ওভারে তাসকিনকেও তুলে নেন পেসার শহীদ। ১৫তম ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৮৬। এখান থেকে শেষ ৩০ বলে মাত্র ৪১ রান তুলতে পেরেছে সিলেট। দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোয় রানটা প্রতিপক্ষের নাগালের বাইরে নিতে পারেনি ওয়ার্নারের দল।