তামিমকে দৌড়ের ওপর রেখেছেন স্মিথ!

কুমিল্লার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই সফল স্মিথ। ছবি: প্রথম আলো
কুমিল্লার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই সফল স্মিথ। ছবি: প্রথম আলো
>অস্ট্রেলীয় তারকা স্মিথ নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে কেমন অধিনায়কত্ব করছেন, সেটিই বলেছেন কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন

বিপিএলে তামিম ইকবাল যে দলে খেলেন, সে দলের অধিনায়ক সাধারণত তিনিই হন। ২০১৫ ও ২০১৬ বিপিএলে ছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক। গতবার নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। এবারও তিনি দলের ‘আইকন’ খেলোয়াড়, তবে নেতৃত্বের ভারটা তাঁর কাঁধে আর নেই। কুমিল্লার অধিনায়কত্ব করছেন স্টিভ স্মিথ। প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসেই অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের শুরু হলো জয় দিয়ে। টস থেকে ম্যাচ—জয়ের হাসি হেসেই মাঠ ছেড়েছেন স্মিথ।

মাঠে অধিনায়ক স্মিথের তৎপরতা ছিল দেখার মতো। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে তিনি এতটা সক্রিয় রাখছিলেন, সতীর্থদের একটুও আয়েশী ভাব আনতে দেননি। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে নিজে দাঁড়িয়েছেন স্লিপে। ব্যাটসম্যানের ভাবনা যেন পুরোপুরি পড়তে পারছিলেন কুমিল্লা অধিনায়ক। বোলারের স্কিল ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বারবার পরিবর্তন করেছেন ফিল্ডিং। ফলও মিলেছে, সিলেট সিক্সার্সকে ১২৭ রানে আটকে ফেলেছে কুমিল্লা। মাঠে স্মিথের অধিনায়কত্বের ধরন দেখে তামিম দলের কোচ সালাউদ্দিনকে বলেছেন, ‘স্যার, ও যে আমাকে এত দৌড়ের ওপর রেখেছে!’

কুমিল্লা কোচ কাল সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘তামিমের খুব কষ্ট হয়েছে। ও আমাকে বলেছে, “স্যার, ও আমাকে এত দৌড়ের ওপর রাখছে!” সবাইকে ও খুব সক্রিয় রাখছে। এটা খুব ইতিবাচক। ছেলেদের কষ্ট হবে বুঝতে পারছি এখনই। যারা (বৃত্তের) বাইরে ভালো ফিল্ডার, তাদের অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। সে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অনেক বেশি সক্রিয় করে রাখছে। এটা খুব ভালো দিক। অনেক বেশি অভিজ্ঞ। পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে সে নিজেও বেশ উদ্‌গ্রীব। সব মিলিয়ে আমাদেরও ওর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তাকেও মানিয়ে নিতে হবে। এটা আমরা যত দ্রুত সম্ভব ও তাড়াতাড়ি করতে পারব, ততই দলের জন্য ভালো। দল যখন জেতে, তখন এগুলো তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। যখন হারে, তখন এগুলো করতে দেরি হয়।’

মাঠের অধিনায়কত্ব তো চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে। মাঠের বাইরে অধিনায়ক হিসেবে স্মিথ কেমন করছেন? সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘ওর সঙ্গে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ কেমন হচ্ছে সেটা বলা কঠিন। আমাকেও হয়তো মানিয়ে নিতে হবে। স্মিথকেও মানিয়ে নিতে হবে। দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের দ্রুত সমন্বয় করা কঠিন। একটু কঠিন হলেও দলের স্বার্থে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে ও অনেক ইতিবাচক এবং সে খেলাটা খুব ভালো বোঝে। যদি খেলা ১০ ওভারে থাকে, তাহলে ও দুই ওভার পর কী হবে, সেটা নিয়েও চিন্তা করে। এদিকটা দেখে বেশ ভালো লাগছে।’