মিরাজ যেভাবে তিনে এলেন

তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জয়ে মিরাজ নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ছবি: প্রথম আলো।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জয়ে মিরাজ নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ছবি: প্রথম আলো।
>১১৮ রান এমন বড় কোনো লক্ষ্য নয়, তবুও হঠাৎ তিনে নামতে সাহস লাগে। এই পজিশনে খেলে যে তিনি অভ্যস্ত নন। তবে অভিজ্ঞতা আছে। হঠাৎ ব্যাটিং পজিশনে ওপরে উঠে এসেও সফল মিরাজ। কিন্তু কীভাবে তিনে নামার পরিকল্পনাটা হলো?

গত এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যাটিংয়ে ওপেন করে চমকে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে তিনে নেমে আরেকবার চমকে দিলেন ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। শুধু নেমেই শেষ নয়, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকেই।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মিরাজ জানালেন, হঠাৎ তাঁর তিনে নামার পরিকল্পনাটা কীভাবে হয়েছে, ‘তিনে নামার পরিকল্পনা ছিল ম্যানেজমেন্টের। ম্যানেজমেন্ট থেকে বলেছিল, প্রথম তিন ওভারের মধ্যে যদি উইকেট পড়ে তাহলে আমি যাব, তা না হলে (সৌম্য) সরকার ভাই যাবে। ভালো যোগাযোগ ছিল। পরিকল্পনা সফল হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।’

মিরাজই বললেন তিনে খেলতে সৌম্য সরকার ছিলেন। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মিরাজকেই নাম্বার থ্রি পজিশনে সেরা মনে হয়েছে? রাজশাহীর তরুণ অধিনায়ক বলছেন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ বড় করতেই ওপরে আসা। আমার না হয় সাত-আট নম্বরে নামা হতো। আমাদের বেশি রানও দরকার ছিল না। ছয়ের আশপাশে রানরেট ছিল। ওই সময় মারার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এক-দুই রান করা।’

১১৮ রান এমন বড় কোনো লক্ষ্য নয়, তবুও হঠাৎ তিনে নামতে সাহস লাগে। এই পজিশনে যে খেলে তিনি অভ্যস্ত নন। তবে অভিজ্ঞতা আছে। গত এশিয়া কাপের ফাইনালে ওপেনিংয়ে নেমে ৩২ রানের এক সাহসী ইনিংস খেলে প্রশংসিত হয়েছিলেন মিরাজ। রাজশাহী অধিনায়ককে ওই ইনিংসটা ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে, ‘এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। চিন্তা করেছি আমি পারব, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলেছি। ওখান থেকেই আত্মবিশ্বাস এসেছে। আর দলের সবাই আস্থা রেখেছে। এটা আরও ভালো লেগেছে।’