জিয়ার নিজের কী খবর?

জিয়া, হারিয়েই কি গেলেন! ফাইল ছবি
জিয়া, হারিয়েই কি গেলেন! ফাইল ছবি
>তাঁর দল ভালো করছে। ছয় ম্যাচের চারটিতে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কিন্তু একসময় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ধরা হতো যাকে, সেই জিয়াউর রহমানের নিজের কী খবর?

প্রথমবার বিপিএলে এসেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। নামটাকে সার্থক করে তুলেছিল। কিন্তু পরের দুই আসর হতাশায় কেটেছে তাদের। দুই রকমের হতাশা অবশ্য। ২০১৬ সালে খুবই বাজে খেলে ৬ দলের মধ্যে হয়েছিল পঞ্চম। গতবার গ্রুপ পর্বে সেরা দল হয়ে প্লে-অফে গিয়ে করে ফেলেছিল গড়বড়। বিপিএলে যে কটি দল নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি বা মালিকপক্ষে উৎসাহ তুমুলভাবে দেখা যায়, কুমিল্লা এর একটা। এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পণ করেছে দলটি।

ঢাকা পর্ব সেরে সিলেট ঘুরে বিপিএল আবার ঢাকায় ফিরছে। আগামীকাল শুরু হচ্ছে ঢাকার দ্বিতীয় ধাপের খেলা। আগামীকাল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে খেলা কুমিল্লার। রাজশাহী সেরা চারে ফিরে আসতে ম্যাচটি খেলবে মরিয়া হয়ে। কিন্তু কুমিল্লা আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার ব্যাটসম্যান জিয়াউর রহমান বললেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের দলটা খুবই ভালো। এত সুন্দর দল বানানোর জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা দুটি ম্যাচ হারলেও চারটি ম্যাচ জিতেছি। সর্বশেষ জয়ের পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। আমাদের যেই ঘাটতিগুলো ছিল, সেগুলো পূরণ করে আবার জয়ের জন্য খেলার চেষ্টা করব। আশা করি লুইস (এভিন) আবার ফিট হয়েছে। এখন ভালো অবস্থায় আছে।’

কিন্তু কুমিল্লার জন্য কালকের দুশ্চিন্তা হবে মোস্তাফিজুর রহমান। রাজশাহীর হয়ে ফিজ আবারও শেষের ওভারের জাদুগুলো দেখাতে শুরু করেছেন। স্বল্প পুঁজি নিয়েও জিতেছে রাজশাহী। তবে জিয়া বলছেন, ‘অবশ্যই মোস্তাফিজ খুবই ভালো বোলার। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরাও সবাই ভালো ফর্মে আছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি মোস্তাফিজকে খুব ভালোভাবে সামলাবে সবাই। আমার মতে, কালকের ম্যাচের জন্য আমরা অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ফর্মে আছে। আমাদের দলও এগিয়ে আছে।’

কিন্তু জিয়ার নিজের কী খবর? এবারের বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলেছেন। দুবার ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পাননি। গত ম্যাচে ব্যাটিং পেলেও করেছেন শূন্য! একসময় জিয়াকে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ধরা হতো। সেই জিয়া কি তবে হারিয়েই গেলেন? জিয়ার অবশ্য নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবনা নেই। তিনি দল নিয়েই ভাবছেন, ‘অবশ্যই, আমি সেটাই বললাম, টিম কম্বিনেশন। যেই দল দ্রুত একটা দল হয়ে উঠতে পারে, তারাই ভালো করে। কারণ টি-টোয়েন্টি অনেক সংক্ষিপ্ত খেলা। এখানে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।’