ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!

কুগেলেইনের দলে ডাক পাওয়া নিয়ে চলছে সমালোচনা। ফাইল ছবি
কুগেলেইনের দলে ডাক পাওয়া নিয়ে চলছে সমালোচনা। ফাইল ছবি
>অভিষেকে দল জিতিয়ে আলোচনায় এসেছেন কুগেলেইন। আর তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের পুরোনো মামলার কথা জানতে পারছে মানুষ।

দলকে জিতিয়ে মানুষ পায় তারকাখ্যাতি। আর ম্যাচটা যদি হয় অভিষেকেই, তাহলে তো কথাই নেই। ১৫ বলে ৩৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন স্কট কুগেলেইন। দলের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু এই মারকুটে ইনিংসই কাল হলো তাঁর জন্য। হঠাৎ পাদপ্রদীপের আলোয় এসে ফেঁসে গেছেন পুরোনো মামলায়। ধর্ষণের মামলায় যে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার স্কট কুগেলেইনের। আর গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয়েছে তাঁর। ৩৫ রান করেছেন, ২৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। আর এটা জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। ২০১৬ আর ১৭ সালে দুই দুইবার শুনানিতে যেতে হয়েছিল কুগেলেইনকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৫ সালে হ্যামিলটনে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। জোড়পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেছেন, এমনটা স্বীকার নিয়েছিলেন কুগেলেইন। তবু প্রথমবার কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি জুরি। দ্বিতীয় জুরিতে পুরোপুরি দোষী হয়েছেন, এটা নিশ্চিত হতে না পারায় ছাড়া পেয়ে গেছেন। এই অভিজ্ঞতা ক্রিকেটে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁর। ২০১৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে অভিষেকও হয় এই অলরাউন্ডারের। তবে সেই ঘটনা যখন সবাই আড়ালে চলে গিয়েছিল, তখনই যেন নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন।

নিজেদের মাটিতে এমন পারফরম্যান্সের পরই ৩ বছর আগের সেই ঘটনা চলে এসেছে আলোচনায়। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব উইমেনের সদস্য সান্দ্রা ডিকসন ম্যাচের পর পোস্ট দিয়েছেন, ‘না মানে না।’ ধর্ষণের মামলার সময় বাদী বলেছিলেন, তিনি শারীরিক সম্পর্কের আগে বারবার ‘না’ বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথাকে অন্যভাবে ব্যবহার করেছিলেন কুগেলেইনের আইনজীবী। সে মামলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিতর্কিত ক্রিকেটারকে দলে নেওয়াকে মানতে না পারার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ডিকসন।

নারীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত, শিশুদের সেই বিষয়ে সচেতন করেন এই বিশেষজ্ঞ। ডিকসনের মতে, ‘ঘটনাটা হলো তার দোষ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এতে করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এত নিশ্চিত হওয়ার কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। নারীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে তাকে নিয়ে বসা উচিত।’ ডিকসন বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে শুধু তেমন ব্যাক ক্যাপসকেই দলে নেওয়া উচিত যাকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সবাই গর্ব করতে পারে।’

এ ছাড়াও ম্যাচের পর যৌন নিপীড়ন নীতির নিয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অবস্থানের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন উত্থাপন করা হয়। চব্বিশ ঘণ্টায় যাতে সাক্ষর দিয়েছেন চার শ জনের ওপরে। বোঝাই যাচ্ছে, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই নেওয়া হয়েছে।