ভালোই বিপদে পড়তে যাচ্ছেন সরফরাজ

সরফরাজ আহমেদ। ছবি: টুইটার
সরফরাজ আহমেদ। ছবি: টুইটার
>ডারবানে পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বর্ণবাদী মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ

হয়তো ভেবেছিলেন উর্দুতে বললে কেউ ধরতে পারবে না। কিন্তু প্রযুক্তি কাউকে ছাড় দেয় না, সরফরাজকেও ছাড়েনি। গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ধরা পড়েছে সরফরাজের এমন এক মন্তব্য, যেটা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। কুৎসিত বর্ণবাদী মন্তব্য করছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। বর্ণবাদী মন্তব্য এমনিতেই খুবই স্পর্শকাতর, খেলাধুলায় তো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, তার ওপর সরফরাজের বলা কথাটা ছিল কুৎসিত ইঙ্গিতপূর্ণও। প্রতিপক্ষ এক ক্রিকেটারের মাকে অসম্মান করা।

এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আইসিসি ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সরফরাজ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তবে পার না–ও পেতে পারেন। পাঁচ ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজের বাকি তিনটিতে নিষিদ্ধ হওয়ার খড়্গ ঝুলছে তাঁর মাথার ওপর।

ডারবানে পরশু আগে ব্যাট করে ২০৩ রান তুলেছিল পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে জিতেছে প্রোটিয়ারা। তাঁদের ইনিংসে ৩৭তম ওভারে কুকর্মটি ঘটান সরফরাজ। প্রোটিয়াদের হয়ে তখন ব্যাট করছিলেন ফন ডার ডুসেন ও আন্দিলে ফিউলেঙ্কো। এ সময় ফিউলেঙ্কোকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে থাকা সরফরাজ। খুব কাছে ছিলেন বলে স্টাম্প মাইকে পরিষ্কার শোনা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরপর থেকেই মুণ্ডুপাত চলছে সরফরাজের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তাদের অধিনায়কের মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, ঘটনাটা ‘ক্রিকেটারদের সব ধরনের শিক্ষা ও অনুশীলন দেওয়ার ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের ব্যাপার। সেখানে অধিনায়ক কিংবা যে-ই হোক এমন মন্তব্য করলে তা পিসিবির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’

দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ মোসাজি জানিয়েছেন, সরফরাজের কুৎসিত মন্তব্য আইসিসির নজরে পড়েছে। ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে এ নিয়ে সরফরাজের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। তবে আইসিসি এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলেনি। সরফরাজ অবশ্য পরে ক্ষমা চাইলেও কারও নাম উল্লেখ করেননি। তিনটি সিরিজ টুইটে সরফরাজ লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্টাম্প মাইকে ধরা পড়া আমার হতাশা থেকে (ম্যাচ হারতে থাকার) উৎসারিত সেই কথা যদি কাউকে আঘাত করে থাকে, এর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমি কাউকে উদ্দেশ করে কথাটা বলিনি বা কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্যও ছিল না। আমার এমন কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না যাতে আমার কথাটা প্রতিপক্ষের কেউ বা কোনো ক্রিকেট সমর্থক শোনে বা বোঝে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমি বিশ্বজুড়ে সতীর্থ ক্রিকেটারদের সৌহার্দ্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যাব, মাঠে এবং মাঠের বাইরেও এই সম্মান বজায় থাকবে।’

[মন্তব্যটি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ ও বর্ণবাদী হওয়ায় প্রথম আলো অনলাইন তার সম্পাদকীয় নীতির কারণে তা প্রকাশ করল না]