মোহামেডানের ৪ গোল খাওয়া দেখল না ময়মনসিংহবাসী

>
উড়ছে  আরামবাগ  প্রথম আলো ফাইল ছবি
উড়ছে আরামবাগ প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। এর আগে ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি।

আরামবাগের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছে মোহামেডান। এটা কি কোনো বড় খবর? প্রশ্নটি উঠত না। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের হার এখন আর কোনো খবর হয়ে উঠতে পারে না। কিন্তু চার গোল হজম শুনলে একটু ভ্রু কুঁচকাতেই হয়। তা-ও আবার যদি হয় মাঝারি মানের দল হিসেবে পরিচিত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে।

আগের ম্যাচে এনকোচা কিংসলের জোড়া গোলের ওপর ভর করে বিজেএমসির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল মোহামেডান। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ধরা পড়ল সাদা-কালোদের কঙ্কালসার দেহটা। পাড়া-মহল্লার দল বলতে যা বোঝায়, মারুফুল হকের শিষ্যদের সামনে মোহামেডানকে মনে হচ্ছিল তা-ই। এমন মোহামেডানকে পেয়ে ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দেখে ফেলে উইঙ্গার জাহিদ হোসেন করলেন হ্যাটট্রিক। মোহামেডানের জাহিদ হাসান এমেলী, মিথুন চৌধুরীরা অবশ্য এই ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন, এমন লজ্জার পরাজয়ের দিন ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল না তেমন দর্শক। অন্যভাবে বললে ময়মনসিংহবাসীকে দুর্ভাগা বলতেই হয়, ঘরের মাঠে বসে দেখা হলো না জাহিদের হ্যাটট্রিক। মোট পাঁচ গোলের দুটি তো ছিল দুর্দান্ত।

প্রথমার্ধে আরামবাগ ১, মোহামেডান ০ (শূন্য) । দুই দল মিলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে হলো চার গোল। এর মধ্যে কোন দল কত গোল করেছে, তা আর বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। পাঁচ গোলের শুরুটা করেছিলেন জাহিদ, শেষটাও তাঁর। ১২ মিনিটে জাহিদের গোলে এগিয়ে যায় আরামবাগ। রাজন মিয়ার বাড়ানো বলটি দেখেশুনে শুধু পোস্টে প্লেসিং করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডান সমতায় ফিরেছে কাউসার আলি রাব্বির দুর্দান্ত গোলে। বক্সের কোনায় ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহামেডান। সেখান থেকে রাব্বির উদ্দেশে ল্যান্ডিং ব্যাক পাস করলে, প্রথম স্পর্শেই জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন, ১-১। ব্যস, সাদা-কালোদের দৌড় এই পর্যন্তই।

এর পর শুরু হয় আরামবাগের তরুণদের একচ্ছত্র দাদাগিরি। ৬৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে আবারও এগিয়ে নিয়েছেন জাহিদ। অতিরিক্ত সময়ে শেষ বাঁশি বাজার আগে ভলিতে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন এই উইঙ্গার। এর আগে দলের তৃতীয় গোলটি করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাথিউ চিনেডু।