গোল করে কোচকে তুলে নিলেন কোলে

গোল করে কোচকে কোলে তুলে নিয়েছেন সানডে। ছবি: তানভির আহমেদ
গোল করে কোচকে কোলে তুলে নিয়েছেন সানডে। ছবি: তানভির আহমেদ
>প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

সতীর্থ কেভিন বেলফোর্ট ও প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের বল দখলের লড়াইয়ে বক্সের বাম প্রান্তে অপ্রত্যাশিতভাবে বলটা চলে গেল সানডে চিজোবার পায়ে। নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে প্রথম স্পর্শেই দূরের পোস্টে ‘বানানা’ শটে জড়িয়ে দিলেন জালে। মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক ঠাঁই কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। ভাবখানা এমন, ‘এমন গোল হলে গোলরক্ষকের কি করার আছে!’ আসলেই সানডের আচমকা দুর্দান্ত প্লেসিংটি কোনো গোলরক্ষকের পক্ষেই হয়তো ঠেকানো সম্ভব নয় ছিল না!

এর পর আরও অবিশ্বাস্য কাণ্ড। এক দৌড়ে চলে এলেন আবাহনীর ডাগআউটে। আনন্দে কোচ মারিও লেমোসকে তুলে নিলেন কোলে। ততক্ষণে পশ্চিম গ্যালারিতে আসা কিছু দর্শক হই হুল্লোড় করছে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আবাহনী। আকাশি-নীলদের অন্য গোলটি আত্মঘাতী। গত ম্যাচে শেখ জামালকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হ্যাটট্রিক নায়ক বালো ফামোসা আত্মঘাতী গোল করে আজ মুক্তিযোদ্ধার খলনায়ক।

মৌসুমের শুরুতে আবাহনীকে ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন করতে বড় অবদান ছিল সানডের। সেমিফাইনালে শেখ জামালের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ৬ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটাও জিতে নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা কাপে জ্বলে উঠতে পারেননি। আবাহনীও বিদায় নিয়েছে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনাল থেকে। স্বাধীনতা কাপের ৪ ম্যাচে গোল পাননি। লিগের দুই ম্যাচেও গোলের দেখা নেই। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে নীলফামারীতে পেনাল্টি থেকেও গোল করতে হয়েছিলেন ব্যর্থ। আজকের দুর্দান্ত গোলটি নিশ্চিত আত্মবিশ্বাস ফেরাবে নাইজেরিয়ানের।

আবাহনীর প্রথম গোলটা আসে ২৯ মিনিটে। যা ‘উপহার’ দেই ফামোসা। রায়হানের দূরপাল্লার থ্রো ইন বক্সের ভেতরে ঢুকলে সেটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন মুক্তিযোদ্ধার আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার ফামোসা। কিন্তু ফামোসার হেড দিক বদলে ঢোকে জালে। এরপর ৬০ মিনিটে সানডের দুর্দান্ত গোল।

এই জয়ে তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ছয়। সমানসংখ্যক ম্যাচে দুই হার ও এক জয়ে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট তিন।